সংক্ষিপ্ত

  • লাদাখ নিয়ে সামরিক পর্যায়ের বৈঠক
  • বড় সাফল্য এল ভারতের দিকে 
  • সেনা প্রত্যাহের রাজি হয়েছে দুই দেশ
  • ৮ নম্বর আঙুলে ফিরতে রাজি চিনা সেনা 

ভারত ও চিনের মধ্যে চার মাসের ও বেশি সময় ধরে যে উত্তেজনা চলে আসছে তা  এখনও পুরোপুরি মেটার কোনও ইঙ্গিত দিয়েনি দুই দেশ। যুযুধান দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তাপ ক্রমশই বেড়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে অষ্টম পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের সেনা কর্তারা। দীর্ঘ আলোচনার প্যাংগং লেকের পূর্ব প্রান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার সিন্ধান্তে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছে দুই দেশ। সেনা সূত্রে খবর দুই দেশই স্থির করেছে চলতি এপ্রিল ও মে মাসের অবস্থানেই ফিরে যাবে দুই দেশের সেনা বাহিনী। গত ৬ নভেম্বর চুসুলে বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের সেনা কর্তারা। 


সেনা সূত্রে খবর এক সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দুই দেশ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনটি পদক্ষেপ করা হবে। সেগুলি হলঃ
প্রথম পদক্ষেপ,  ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, কর্মীবাহী গাড়ি সমস্ত কিছু  সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে নির্ধারিত দূরত্বে।  
দ্বিতীয় পদক্ষেপ,আলোচনা অনুসারে মাত্র এক দিনের মধ্যেই সেনা সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম তিন দিনের প্রায় প্রতিটি  দিনই প্যাংগং লেকের উত্তর প্রান্ত থেকে ৩০ শতাংশ সেনা হ্রাস করতে হবে। 
তৃতীয় পদক্ষেপ, ভারত ও চিন দুই পক্ষকেই প্যাংগং লেক অঞ্চলের দক্ষিণ তীর এলাকায় দুই দেশকেই পিছিয়ে যেতে হবে। চুসুল ও রেজিংলা  এলাকায় পর্যন্ত এলাকা থেকে দুই দেশই সেনা সরিয়ে নেবে। 

অন্যদিকে ভারতীদের দাবি মেনে চিনা সেনা প্যাংগং লেকের ৮ল নম্বর ফিঙ্গার এলাকায় ফিরে যেতে রাজি হয়েছে। এই এলাকায় নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই টালবাহানা করছিল চিনা সেনা। কারণ পাঁচ নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্ট এলাকায় রীতিমত পরিকাঠামো তৈরি করে অবস্থান করছিল লাল ফৌজ। ভারত বারবার সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর পরেও সেদিকে কর্ণপাত করেছিন পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা।অন্যদিকে ভারত ও চিন দুই দেশই সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিমান বাহিনীর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবে। যৌথ প্রতিক্রিয়া দেওয়ার বিষয়েও সহমত পোষণ করেছে বলে সেনা সূত্রে খবর।