সংক্ষিপ্ত
ভারতেকে আকসাই চিন থেকে দূরে রাখতে উদ্যোগ
সেই কারণে সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি চিনের
গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের গতিবিধি আটকাচ্ছে চিন
ভারত চিন দুটি দেশের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ গালওয়ান উপত্যকা। ভৌগলিক কারণেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৫হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই উপত্যকা। শীতে এখনে তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও কম। কারাকোরাম পাস পর্যন্ত বিস্তৃত গালওয়ান উপত্যকা। তাই পাহাড় ঘেরা এই উপত্যকার দখল নিতে মরিয়া চিন। কিন্তু কেন বেজিং-এর কূনজর পড়েছে এই উপত্যকার দিকে। সেনা সূত্রে পাওয়া খবর থেকেই জানা গেছে চিন চাইছে ভারতের সমস্ত গতিবিধি একটি নির্দিষ্ট এলাকার পর আটকে দিতে। সেই কারণে ধীরে ধীরে সীমান্ত উত্তাপ বাড়িয়ে তোলার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে জিংপিং প্রশাসন।
চিন চাইছে ভারতীয় সেনাদের গতিবিধি আটকে থাকুক গালওয়ান উপত্যকার ১৪ নম্বর পেট্রোল পোস্ট সংলগ্ন এলাকায়। এই পোস্ট সংলগ্ন এলাকায়ে ১৬ জুন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল ভারত আর চিন। ভারতের ২০ জওয়ান নিহত হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি চিন। পাশাপাশি সাইয়ক ও গালওয়ান নদীর সঙ্গম স্থলের ওপার যেকোনও রকম নির্মাণ কাজ থেকেই ভারতে বিরত রাখতে চায় বেজিং। সেই কারণেই জিংপিং প্রশাসন সাইয়ক নদীর ওপরে ৬০ মিটার লম্বা সেই তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু সেটা পুরোপুরিই ছিল চিনের কৌশল। সেনা সূত্রে খবর চিন চায়ইনি দৌলত বেগ ওল্ডি থেকে সাইয়ক হয়ে কারাকোরাম পাস পর্যস্ত রাস্তা তৈরি করুক ভারত। সেই কারণে নানা অজুহাতে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছে লালফৌজ। ওই এলাকায় রাস্তা নির্মাণের আগে ভারতীয় সেনাদের পেট্রিং-এর জন্য ৫ বার নদীপথ পার হতে হত। যা ছিল খুবই কষ্টসাধ্য। তাই ভারত প্রথম থেকে দাবি করে আসছিল সেনাদের সুবিধের জন্যই রাস্তা নির্মাণে জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভারতের সেই দাবি মানতে প্রথম থেকে নারজ বেজিং।
করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে জঙ্গি হামলা, নিহত ৪ বন্দুকবাজ ...
মেয়েকে ঘুমে আচ্ছন্ন করে রেখে ধর্ষণ করল বাবা, আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর ...
কিন্তু কেন? সেনা সূত্রের খবর গালওয়ান উপত্যকা হাতে থাকা মানেই আকসাই চিনের নিয়ন্ত্রণে নিজেদের অন্তর্গত রাখা। এই এলাকা যেমন কারাকোরাম পাশে যাতায়াত সহজ করে দেয় তেমনই আকসাই চিনে যাওয়ারও প্রবেশাধিকার দেয়। ভারতীয় এই ভূখণ্ড দীর্ঘ দিন ধরেই দখল করে রেখেছে চিন। পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আকসাই চিনও ভারতের ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে দেশের অন্দরে। তাই থেকে তড়িঘড়ি সচেতন হয়েই নিজেদের দখলদারি বজায় রাখার জন্যই লালফৌজের সক্রিয়াতা বেড়েছে লাদাখ সীমান্তে? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে নারাজ সেনা কর্তারা। বেশ কয়েক দিন ধরেই চিন দাবি করে আসছে গালওয়ান উপত্যকা পুরোটাই নাকি তাদের। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ ভারত। দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করা হবে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর।
'ভারতীয় ভূখণ্ড গ্রাস করছে চিন', সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি দিয়ে অভিযোগ বিজেপি নেত্রীর ...