সংক্ষিপ্ত
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে বিজেপি বিধায়কের আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাঁরা। তারা শাসক দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত একজন অফিসারকে দুর্ব্যবহার, অপমান, হুমকি এবং দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন।
কাছাড় জেলা প্রশাসনের অন্তত ৩০ জন আধিকারিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন বিজেপির লখিপুরের বিধায়ক। এমই অভিযোগ করল অসম তৃণমূল কংগ্রেস। ওই ৩০ জন আমলার অভিযোগপত্রকে টুইট করে বিষয়টি সামনে এনেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দাবি এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। এইভাবেই আমলাদের সঙ্গে ব্যবহার করেন গেরুয়া শিবিরের জনপ্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন ৩০ জন আমলা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কাছে বিজেপি বিধায়কের আচরণের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাঁরা। তারা শাসক দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত একজন অফিসারকে দুর্ব্যবহার, অপমান, হুমকি এবং দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে যে বিধায়ক সমগ্র আসাম সিভিল সার্ভিসেস, বা এসিএস, ক্যাডারের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। চিঠিতে আমলারা লিখেছেন “আমরা, কাছাড় জেলার সিভিল সার্ভিস অফিসাররা, আপনার সক্ষম নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে, জানাতে চাই যে সোনাল রাজস্ব সার্কেলে ত্রাণ দায়িত্বে নিয়োজিত আধিকারিকদের সঙ্গে লখিপুরের বিধায়ক চরম দুর্ব্যবহার করেছেন। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এসিএস, সার্কেল অফিসার, সোনাল রাজস্ব সার্কেল দীপঙ্কর নাথ, এএলআরএস, সার্কেল অফিসার (এ) বিকাশ ছেত্রী, সোনাল রাজস্ব সার্কেল, এএলআরএস, বিডিও হুসেন মোহাম্মদ মবিন,” ।
স্মারকলিপিতে বলা হয় আধিকারিকরা নাকি ত্রাণ বিতরণ করতে ব্যর্থ। এছাড়াও আরও অনেক অবমাননাকর শব্দ নাকি ব্যবহার করেন ওই বিধায়ক। তার সঙ্গে ছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। তাঁরাও অপমান করেন সরকারি আধিকারিকদের। এই অভিযোগ তুলে ধরেই এদিন টুইট করে অসম তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। কোনওভাবেই তারা অন্য পদাধিকারিদের সম্মান করতে পারেন না।