সংক্ষিপ্ত
সুইসাইড নোটে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন। পাঞ্জাবের ব্যবসায়ীর শেষ পরিণতি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেশজুড়ে
পাঞ্জাবের গড়শঙ্করে বয়স্ক ব্যবসায়ী নরেশ কুমার খান্নাক আত্মহত্যা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য চলে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। সম্প্রতি দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) কাছে আত্মহত্যা করেন তিনি। মৃত্যুর আগে ওই ব্যবসায়ী প্রধানমন্ত্রীর নামে একটি সুইসাইড নোট (suicide note in the name of the Prime Minister) লিখে তাতে ন্যায়বিচারের আবেদন করেছেন। যা নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সুইসাইড নোটে ব্যবসায়ী যা লিখেছেন তা দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। সূত্রের খবর সম্প্রতি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছিলেন তিনি। জালিয়াতরা তার থেকে প্রায় ৪১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে খবর। আর তারপর থেকেউ পঞ্জাবের ওই ব্যবসায়ী তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন।
সুইসাইড নোটে ব্যবসায়ী নরেশ কুমার খান্না লিখেছেন, "গুণ্ডাদের কাছ থেকে আমার ৪১ লাখ টাকা ফেরত নাও। এর মধ্যে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে ২ লাখ, কালী মাতা মন্দির রামপুরে এক লাখ, গড়শকরের শ্রী বৈষ্ণো দেবী মন্দির দীপ কলোনিতে এক লাখ টাকা, শ্মশানঘাটে এক লাখ টাকা দান করতে হবে। বাকি ৩৫ লাখ টাকা আমার ছেলে গৌরব খান্নাকে দিতে হবে। সুইসাইড নোটে ব্যবসায়ী নরেশ কুমার খান্না আরও লিখেছেন, ‘আমি ৩১শে জানুয়ারী, ২০১৯ সালে আমার ভাগ্নের দোকানে গিয়েছিলাম খান্না শপ ফ্যাক্টরি থেকে চা পাতা নিতে। সেখানে এক ভাইয়ের দুই ছেলে আরেক ভাইয়ের ছেলে বসে গল্প করছিল। তিনি জানান, নওয়ানশহর রোডে তার জমি রয়েছে, যেখানে তিনটি দোকান রয়েছে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ জমি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই এবং আমাদের চুক্তিও হয়েছে ৪১ লাখে। এর পরে আমি আমার এসবিআই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩রা মে, ২১শে ডিসেম্বর এবং ২০২০ সালের ৩১শে জানুয়ারি তারিখে খান্না শপ ফ্যাক্টরি অ্যাকাউন্টে ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা স্থানান্তর করেছি।"
আরও পড়ুন- কোভিড রুখতে কেন্দ্রের নয়া উদ্যোগ, সল্টলেকে উদ্বোধন হল বিশেষ করোনা সচেতনতা যানের
আরও পড়ুন- নামছে কোভিড গ্রাফ, ফিরছে স্বস্তি, একনজরে গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যের করোনা পরিসংখ্যান
ওই সুইসাইড নোটেই তিনি আরও লেখেন, এরপর আমি রেজিস্ট্রি করতে বললে তিনজনই বলতে থাকে তোমার বাবার নামে জমি হস্তান্তর করে দেবে, এতে তোমার টাকা বাঁচবে। আমি তাকে বললাম তিনটা দোকানই তোর শ্যালকের নামে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, দিদির নামে শ্বশুর ও দিদির বাবার নামে বদলি হওয়ার পর আমরা দুই ভাই আমাদের বাবার নামে বদলি হয়ে যাব। তার পর বাবা তোমার নাম করিয়ে দেবে। এরপর তিনজনকেই ৪১ লাখ টাকা দিয়েছি। সেই টাকাই এখন ফেরত চাই। এর মধ্যে শ্রী রাম মন্দির অযোধ্যায় ২ লাখ, কালী মাতা মন্দির রামপুরে এক লাখ, গড়শকরের শ্রী বৈষ্ণো দেবী মন্দির দীপ কলোনিতে এক লাখ টাকা, শ্মশানঘাটে এক লাখ টাকা দান করতে হবে। বাকি ৩৫ লাখ টাকা আমার ছেলে গৌরব খান্নাকে দিতে হবে। আমি এটাও বলতে চাই যে আমি উন্মাদ নই বা আমাকে কখনও উন্মাদতার জন্য চিকিত্সা করা হয়নি। আমি এই সুইসাইড নোটটি সজ্ঞানে লিখেছি।"
আরও পড়ুন- প্রার্থী বদলের দাবি, TMC কর্মীদের রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভে উত্তপ্ত অশোকনগর