সংক্ষিপ্ত
- অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরই চান হাবিবুদ্দিন তুসি
- মুঘল রাজপরিবারের শেষ বংশধর তিনি
- মন্দির নির্মানের জন্য সোনার ইটও দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি
- তাঁর মতে একটি সম্প্রদায়ের আবেগকে সম্মান করাই মুসলমানের ধর্ম
অযোধ্যার বিতর্কিত বাবরি মসজিদ-রাম মন্দিরের জমিতে রাম মন্দিরই হোক, এমনটাই চান মুঘল রাজপরিবারের বর্তমান বংশধর হাবিবুদ্দিন তুসি। তাঁকে জমিটি দেওয়া হলে তিনি সেই জমি রাম মন্দির কমিটির হাতে তুলে দেবেন তাই নয়, মন্দির নির্মানের জন্য প্রথম ইটটিও তিনিই দেবেন বলে জানিয়েছেন। আর সেই ইট যে সে ইট নয়, একেবারে সোনার ইট।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির একটি পক্ষ হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এই মামলায় আর আবেদন গ্রহণ করতে রাজি নয়। তাতে হাল ছাড়ছেন না হাবিবুদ্দিন। তাঁর আইনজীবীর দাবি, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় আর আবেদনপত্র গ্রহণ করতে চায় না বলেছে, গ্রহণ করা হবেই না এই কথা কিন্তু বলেনি।
শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ-এর ষষ্ঠ বংশধর এই হাবিবুদ্দিন তুসি। তিনি জানিয়েছেন প্রথম মুঘল সম্রাট বাবর, ১৫২৯ খ্রীষ্টাব্দে তাঁর সেনাবাহিনীর জন্য ওই মসজিদ স্থাপন করেছিলেন। শুধুমাত্র সেনা সদস্যরাই সেখানে নামাজ পড়তে পারতেন। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে দাবি করা হয়েছে, দ্বিতীয় শতাব্দিতেই একই জায়গায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। মসজিদের আগে মন্দির ছিল কি ছিল না সেই বিতর্কে ঢুকতে নারাজ মুঘলদের বংশধর। কিন্তু যখন একটি বিশেষ সম্প্রদায় এতদিুন ধরে একই দাবি জানিয়ে আছে, তখন সাচ্চা মুসলমান হিসেবে তিনি তাঁদের আবেগকে সম্মান জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
হাবিবুদ্দিন তুসির আরও বক্তব্য, বাবরি মসজিদ-রামমন্দির বিতর্ক মামলায় আবেদনকারীদের কারোর কাছেই উপযুক্ত নথিপত্র নেই। জমিটির কোনও দলিল তাঁর কাছেও নেই। তবে মুঘলদের বংশধর যে তিনি তা সকলেই জানেন। তাঁর হাত ধরেই প্রতি বছর তাজমহলের ভূগর্ভস্থ ঘরের দরজা খোলা হয় শাহজাহানের উরস উৎসবের জন্য। তাই মুঘল বংশধর হিসেবে ওই জমির মালিকানা তিনি দাবি করতেই পারেন। অন্তত সুপ্রিম কোর্টের তাঁর বক্তব্য শুনে দেখা উচিত বলে দাবি করেছেন তিনি।