সংক্ষিপ্ত
- অযোধ্যা মামলায় বড় মোড়
- রামচন্দ্রের জন্মস্থান হিসেবে অযোধ্যাকে মেনে নিল মুসলিম পক্ষ
- সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে স্বীকারোক্তি মুসলিম পক্ষের আইনজীবীর
অযোধ্যাতেই জন্মেছিলেন শ্রীরাম। সুপ্রিম কোর্টে স্বীকার করে নিল মুসলিমরা। তবে এই মামলায় মুসলিম পক্ষের আইনজীবী এটাও দাবি করেছেন, বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল, সেখানে জন্মগ্রহণ করেননি শ্রীরাম। তিনি জন্মছিলেন রাম চবুতরা বলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে। যা বাবরি মসজিদ থেকে খুব বেশি হলে পঞ্চাশ থেকে আশি ফুট দূরে।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে এ দিন এই দাবিই করেন মামলায় মুসলিম পক্ষের হয়ে সওয়াল করা প্রবীণ আইনজীবী জাফরইয়ার জিলানি। তিনি বলেন, 'আমি একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। হিন্দুরা কখনওই বাবরি মসজিদের ভিতরের কোনও জায়গাকে শ্রীরামচন্দ্রের জন্মস্থান বলে পুজো করেনি। তাঁরা পুজো করত রাম চবুতরায়। এই জায়গাটি মসজিদ থেকে খুব বেশি হলে পঞ্চাশ থেকে আশি ফুট দূরে।'
জিলানির আগে এই মামলায় মুসলিম পক্ষের হয়ে সওয়াল করেন আর এক প্রবীণ আইনজীবী রাজীব ধবন। কিন্তু নিজের সওয়ালে তিনিও স্পষ্টভাবে রামের জন্মস্থান হিসেবে রাম চবুতরাকে মেনে নেওয়ার কথা বলেননি। কিন্তু ধবানের পরেই বলতে উঠে জিলানি এমন দাবি করেন। তাঁর বক্তব্য নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি এস বোবদে তাঁকে প্রশ্ন করেন, 'ভগবান শ্রীরাম যে অযোধ্যাতেই জন্মেছিলেন তা মেনে নিতে আপনার কোনও আপত্তি নেই তো?' এর জবাবে জিলানি বলেন, 'এটা নিয়ে কোনও বিতর্কই নেই। কিন্তু রামচন্দ্র বাবরি মসজিদের ভিতরে জন্মেছিলেন, এমন দাবি ঘিরেই আমাদের আপত্তি।'
মুসলিম পক্ষের আইনজীবী জিলানির জবাব নিয়ে নিঃসংশয় হতে বিচারপতি বোবদে ফের প্রশ্ন করেন,'তাহলে আপনারা মেনে নিচ্ছেন যে রাম চবুতরাই শ্রীরামচন্দ্রের জন্মস্থান।' এর জবাবেও জিলানি বলেন, 'একজন জেলা জজের যেহেতু এই মর্মেই নির্দেশ রয়েছে, তাই আমরা সেটাকেই মেনে নিচ্ছি।' এক্ষেত্রে ১৮৮৬ সালে ফইজাবাদের জেলা জজের দেওয়া এক রায়কেই তুলে ধরেন মুসলিম পক্ষের আইনজীবী জিলানি।
মুসলিম পক্ষের আইনজীবী এই কথা বললেও সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি অশোক ভূষণ হস্তক্ষেপ করে বলেন, কোনও আদালতই এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি যে রাম চবুতরাই শ্রীরামচন্দ্রের জন্মস্থান।