সংক্ষিপ্ত

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমকামীদের প্রাইড মানথ উদযাপন অনুষ্ঠান। যার ছবি এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। এই অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন অনুষ্ঠানের উদযাপনের নামে যে সাংস্কৃতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্টই বিতর্কের বলে মনে করছেন অনেকে।

'যাকে চাই তাকেই ভালবাসবে',  'ভালবাসা হল ভালবাসা', 'ভয় করে বাঁচব না'- বুধবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এমনই জোরালো স্লোগান উঠল স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া বা এসএফআই-র উদ্যোগে। কারণ বাম সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটর্স ফ্যাকাল্টিতে প্রাইড প্যারডের আয়োজন করেছিল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমকামীদের প্রাইড মানথ উদযাপন অনুষ্ঠানের ছবি এখন ভাইরাল নেটদুনিয়ায়। এই অনুষ্ঠান ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন অনুষ্ঠানের উদযাপনের নামে যে সাংস্কৃতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে তা যথেষ্টই বিতর্কের বলে মনে করছেন অনেকে।

প্রাইড প্যারেড-
পয়লা জুন সমকামীদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সুদূর নিউইয়র্কে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলেছিল আন্দোলন। সালটা ছিল ১৯৬৬। তাঁদের অভিযোগ ছিল তাঁদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। কারণ সেই সময় নিউ ইয়র্ক স্টেটের পাবলিক বারে সমকামী ব্যক্তিদের মদ পরিবেশন করা হত না। মদ পরিবেশন ছিল বেআইনি। একইভাইরে সমকামীকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হত। সমকামীদের গ্রেফতারে অভিযানও শুরু হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবার কিউয়ার সম্প্রদায়ের অধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলন শুরু হয়েছিল। 

সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই দিনটি পালন করল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টির পড়ুয়ারা। অংশগ্রহণকারীদের দাবি ভারতের সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষ আরও বেশি আত্যাচারের শিকার। তাঁদের অভিযোগ পুরুষতন্ত্র ও রাজনীতি গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় সমাজকে আঁকড়ে ধরেছে। 

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র জানিয়েছেন বর্তমানে এই প্রাইড মানথ উপলক্ষ্যে বেশ কিছু বহুজাতিক সংস্থা ডিসকাউন্ট, কুপন দিয়ে থাকে। এমনভাবে দেখান হয় মনে করা হয় সংস্থাটি তাদের পূর্ণ সমর্থন করে। কিন্তু আদতে তা হয় না। তাদের মলে গিয়েও নানা ভাবে হেনস্থা হতে হয়।  বহুজাতিক সংস্থাগুলি শুধুমাত্র মুনাফা লাভ করতে চায়। 

এদিন সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে পা মিলিয়েছিলেন সাধারণ মানুষও। এক আন্দোলনকারী জানিয়েছেন বাবা মা ও পরিবারের সদস্যদের সামনে নিজের আসল পরিচয় তুলে ধরতে এখনও অনেক সমস্যা হয়। আগামী দিনে যাতে এই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠা যায় তার জন্য প্রচার শুরু হওয়া জরুরি। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার পড়ুয়াদের সঙ্গে মিরান্ডা হাউসের পড়়ুয়ারাও এই মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন। অংশ নিয়েছিলেন জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও। জেএনইউ-র স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি ঐশী ঘোষ  কে কার সঙ্গে প্রেম করবে এটা সমাজ কখনই ঠিক করে দিতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। প্রেমকে কোনও কাঠামোতে বাঁধা যায় না। একজন পুরুষ যদি অন্য পুরুষকে ভালোবাসে এক মহিলা যদি অন্য মহিলাকে ভালোবাসে সেটা সমাজকে মেনে নিতে হবে। আপত্তি করা ঠিক নয়।