সংক্ষিপ্ত
লাদাখের উচ্চ উচ্চতর অঞ্চলের জন্য এই লাইট ওয়েট ট্যাঙ্ক জোরাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ট্যাঙ্কটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় সমরাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী
লাদাখে চিনা সেনার ঘুম ওড়াতে প্রস্তুত লাইট ওয়েট ট্যাঙ্ক জোরাওয়ার (Light Tank Zorawar)। মাত্র দুই বছরেই ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও (DRDO) ও বেসরকারি সংস্থা লারসেন অ্যান্ড অ্যান্ড টুব্রো (L&T) এই উন্নত প্রযুক্তির সমরযান ভারতের সেনা বাহিনীর হাতে তুলে দেবে। এটি ভারতের আদিবাসী লাইট ট্র্যাঙ্ক। ডিআরডিওর প্রধান সমীর ভি কামাত শনিবার গুজরাটের হাজিরায় L&T প্ল্যান্টের প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছেন।
প্রতিরক্ষা সংস্থা সূত্রের খবর, লাদাখের উচ্চ উচ্চতর অঞ্চলের জন্য এই লাইট ওয়েট ট্যাঙ্ক জোরাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। ট্যাঙ্কটি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারতীয় সমরাস্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। DRDO এবং L&T রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে শিক্ষা নিয়েই এই হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক তৈরি করেছে। প্রতিরক্ষা সূত্রের খবর চিনের লালফৌজ মোকাবিলা করার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
লাইট ওয়েট ট্যাঙ্ক জোরাওয়ার -এর বৈশিষ্টঃ
হালকা ট্যাঙ্ক বা লাইট ওয়েট ট্যাঙ্ক জোরাওয়ার এর ওজন মাত্র ২৫ টন। এটি প্রথমবারের মত নতুন করে ডিজাইন করা হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পরীক্ষার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে। এই ট্যাঙ্কগুলির মধ্যে ৫৯টি প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীকে সরবরাহ করা হবে। ২৯৫টি সাঁজোয়া যানের প্রথম কর্মসূচির জন্য একটি প্রথম পদক্ষেপ।
ভারতীয় বিমান বাহিনী C-17 শ্রেণীর পরিবহন বিমান একসঙ্গে এজাতীয় দুটি ট্যাঙ্ক এক স্থান থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে পারে। এই ট্যাঙ্কটি অত্যন্ত হালকা। আর পর্বত উপত্যকায় খুব জোরে এটি চালান যাবে। ইতিমধ্যেই এটির সফল ট্রায়াল রান হয়েছে। আগামী ১২-১৮ মাসের মধ্যে বাকি ট্রায়াল সম্পন্ন হবে। যদিো প্রথম গোলাবারুদ বেলজিয়াম থেকে আসছে। ডিআরডিও দেশীয়ভাবে গোলাবারুদ তৈরি করতে প্রস্তুতি নিয়েছে।