সংক্ষিপ্ত

  • সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতের বহু ঘটনা সামনে আসছে
  • এবার ধর্মনগরী হরিদ্বারে বাজ পড়ল
  •  হর কি পৌরি ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
  • বজ্রপাতের কারণে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ভারতের তীর্থস্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হরিদ্বার। এখানকার গঙ্গার ঘাটগুলির মধ্যে অনত্য হর কি পৌরি। যেখানে পূণ্য লাভের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ গঙ্গাস্নান করেন। সন্ধ্যাবেলায় এখানেই অনুষ্ঠিত হয় জাঁকজমকপূর্ণ গঙ্গা-‌আরতি, যা দেখতে বিদেশি পর্যটকরাও ভিড় জমান৷ তবে করোনা ও লকডাউনের আবহে অবশ্য এসব এখন বন্ধ। তবে লকডাউনের সুফলও মিলেছে। দূষণ কমে যাওয়ায় দীর্ঘদিন পর হর কি পৌরির জল এখন পানের উপযুক্ত হয়েছে। আর এর মধ্যেই ধর্মনগরী হরিদ্বারের একটি খবর সবাইকে চমকে দিয়েছে। বজ্রপাত হয়েছে হর কি পৌরি ঘাটে।

 

 

তীর্থযাত্রীদের কাছে হর কি পৌরির এক আলাদা মাহাত্ম রয়েছে। জানা যাচ্ছে, এখানকার ব্রহ্মকুণ্ডের কাছেই ট্রান্সফর্মারের উপর বজ্রপাত হয়। সোমবার গভীর রাতে বাজ পড়ার ঘটনায় ট্রান্সফর্মার সংলগ্ন প্রাচীরটি পুরোপুরি ভেঙে পড়ে। তবে গভীর রাতে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটায় দুর্ঘটনাস্থলে কেউ উপস্থিত ছিল না। ফলে ঘটনাস্থলে প্রাণহানির মত কোনও ক্ষতি হয়নি। 

 

বড়সড় ক্ষতি এড়ানো গেলেও ট্রান্সফর্মারের উপর বাজ পড়ায় গোটা এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক কালে উত্তরাখণ্ডে এখাধিক বজ্রপাতের ঘটনা সামনে আসছে। এবার যার সাক্ষী থাকল হর কি পৌরি। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ইতিমধ্যে গোটা এলাকা ব্যারিকেড করে দিয়েছে। ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: অসমের মত এবার বেহাল বন্যা পরিস্থিতি মেঘালয়তেও, বানভাসি পশ্চিম গারোয় গৃহহীণ লক্ষাধিক

এদিকে শ্রাবণ মাস শুরু হয়েছে। ফলে ভোলানাথকে জল ঢালতে পূণ্যার্থীদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে হর কি পৌরিতে। সেই কারণে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ দ্রুত করতে চাইছে প্রশাসন। আপাতত ব্রহ্মকুণ্ডে যাওয়ার পথ ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: মহামারীর বিশ্বে মাত্র ১ হাজার জনকে হজের অনুমতি দিল সৌদি, শুরু হচ্ছে ২৯ জুলাই

 শ্রাবণ মাসে প্রতিবছর এই সময় হার কি পৌরিতে বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত হর কি পৌরি অঞ্চলে ঘুরে বেড়ান যদিও এবার করোনা সংকটের কারণে ভক্তদের আগমনে বিধি নিষেধ রয়েছে। সেই কারণে বড় বিপদ এড়ানো গেছে বলে মনে করছে প্রশাসন। এদিকে পাহাড় ও সমভূমিতে বৃষ্টির কারণে গঙ্গার জলের স্তর আবার বাড়তে শুরু করেছে উত্তরখণ্ডে, ফলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।