সংক্ষিপ্ত
রামমন্দিরে চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। রামমন্দিরকে ঘিরে বিরাট আড়ম্বর এবং অর্থযজ্ঞের মাঝে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে বেলাগাম চুরি।
রামমন্দিরে চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, তাড়াহুড়ো করে উদ্বোধন করা হলেও, এখনও সম্পন্ন হয়নি রামমন্দিরের নির্মাণ কাজ। সেইসঙ্গে, মন্দির চত্বর সাজিয়ে তুলতে কোনওরকম কার্পণ্য করছে না কর্তৃপক্ষ। তবে সেই রামমন্দিরকে ঘিরে বিরাট আড়ম্বর এবং অর্থযজ্ঞের মাঝে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে বেলাগাম চুরি।
এবার প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার জিনিসপত্র চুরি গেল অযোধ্যা রামমন্দির থেকে। জানা যাচ্ছে, রামমন্দির যাওয়ার পথে রাস্তার দুইদিকে বাঁশের কারুকাজ করা বাতিস্তম্ভের সঙ্গে আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মূলত, যাতে দেখতে সুন্দর লাগে। তবে রাতের অন্ধকারে কেউ বা কারা সেই বাতিস্তম্ভের প্রায় ৪ হাজার আলো চুরি করে পালিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। রাম পথের পাশাপাশি ভক্তিপথ (Bhaktipath) থেকেও চুরি হয়েছে গোবো প্রোজেক্টর। সবমিলিয়ে, প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বেশি জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেছে। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তদন্ত।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে যে, রাস্তার দুই পাশে মোট ৩৮০০টি বাতিস্তম্ভ থেকে আলো চুরি হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, ৩৬টি গোবো প্রোজেক্টরও চুরি গেছে মাত্র এক রাতের মধ্যে। যার বাজার মূল্য আনুমানিক প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। ‘অযোধ্যা ডেভেলপমেন্ট অথারিটি’এই লাইট এবং প্রোজেক্টর লাগানোর বরাত দিয়েছিল ‘যশ এন্টারপ্রাইজ’এবং ‘কৃষ্ণা অটোমোবাইলকে।’
এই দুই সংস্থা মিলিতভাবে রামপথে ৬৪০০টি বাঁশের কারুকার্য করা লাইট এবং ভক্তিপথে ৯৬টি গোবো প্রোজেক্টর লাগিয়েছিল। তবে এভাবে সেগুলি চুরি হয়ে যাওয়ার ফলে রীতিমতো উদ্বিগ্ন মন্দির কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, উদ্বোধনের পর প্রথম বর্ষাতেই ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ে ভরে যায় রামলালার গর্ভগৃহ। এরপর মন্দিরের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার ঘটনাতেও কম বিতর্ক তৈরি হয়নি। আর এবার চোরের উৎপাত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।