সংক্ষিপ্ত
- চতুর্থ দফার লকডাউনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় মিলবে
- সেলুন-স্পা খোলার অনুমতি মিলতে পারে
- অটো-রিকশা-ট্যাক্সি চালানোতেও ছাড়
- সূত্রের খবর ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে চতুর্থ দফার লকডাউন
দেশে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে সোমবার। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে এই চতুর্থ দফার লকডাউন যে একেবারে এন্যরকম হবে তার ইজ্ঞিত প্রধানমন্ত্রী সেদিনই দিয়েছেন। আগামী সোমবার থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে চতুর্থ দফার লকডাউন। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় এবার কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সে বিষয়ে শুক্রবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করলেন অমিত শাহ। শুক্রবার তিনি নর্থ ব্লকে নিজের দফতরে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ছিলেন। সেই সময় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা সহ শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
মোদীর আর্থিক প্যাকেজ পুনর্বিন্যাসের দাবি, রাহুল বললেন, গরিবদের হাতে সরাসরি টাকা দিন
করোনার আঁতুরঘর চিনকে এবার পেছনে ফেলে দিল ভারত, বিশ্বের ক্রম তালিকায় উঠে এল ১১ নম্বরে
হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন পাঠিয়েছিলেন মোদী, ভেন্টিলেটর দিয়ে এবার ঋণ শোধ করছেন ট্রাম্প
আধিকারিকদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা বিস্তারিতভাবে জানা যায়নি। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, চতুর্থ দফার লকডাউনের বিধি চূড়ান্ত করার কাজ চলছে। প্রথম তিন দফার লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়া বাকি সবকিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তবে চতুর্থ দফার লকডাউনে অনেককিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে। রাজ্য সরকারগুলি যে প্রস্তাব ও পরামর্শ দিয়েছে, সেগুলি নিয়েই এখন আলোচনা চলছে।
সূত্রের খবর, ৩১ তারিখ পর্যন্ত চলবে চতুর্থ দফার লকডাউন। এবারে রেড জোনেও বেশ কিছু জিনিসে ছাড় দেওয়া হবে। তবে স্কুল, কলেজ, শপিং মল এখনই খুলছে না। একই সঙ্গে শপিং মলও বন্ধ থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে এবারের লকডাউনে সেলুন, স্পা খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। জানা যাচ্ছে, এমনই সিদ্ধান্ত নাকি নিতে চলেছে মোদী সরকার। কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়া সবক্ষেত্রেই এই দুই পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হবে।
চতুর্থ দফার লকডাউনে সব জোনেই অটো, রিকশা, ট্যাক্সি চালানোয় ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সূত্রের খবর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়াও অন্যান্য সামগ্রি বিক্রির ক্ষেত্রে ই-কমার্সে ছাড় দেওয়া হবে। অর্থাৎ মুদির দোকানের জিনিস ছাড়াও এবার অনলাইনে জামাকাপড়, জুতো, আসবাস কেনা যাবে। শুধুমাত্র কন্টেইনমেন্ট জোনেই এগুলি নিষিদ্ধ থাকবে।