সংক্ষিপ্ত
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও, ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সরকার গঠনের উদ্যোগ শুরু হয়ে গিয়েছে।
সর্বসম্মতভাবে এনডিএ-র নেতা নির্বাচিত হলেন নরেন্দ্র মোদী। ফলে তিনিই ফের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। এনডিএ-র পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গঠনের দাবি জানানো হচ্ছে। মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই জানানো হয়েছিল, বুধবার এনডিএ-র শরিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠক হবে। সেই অনুযায়ী এদিন বিকেলে বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই এনডিএ-র সব শরিক দল মোদীকে নেতা হিসেবে মেনে নেয়। নতুন সরকার গরিব, মহিলা, যুবসমাজ, কৃষক ও সমাজের পিছিয়ে থাকা অংশের উন্নয়নের জন্য কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনডিএ-র সব শরিক দল বিজেপি-র পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে।
মোদীর বাসভবনে এনডিএ-র বৈঠক
বুধবার বিকেলে মোদীর বাসভবনে এনডিএ-র শরিক দলগুলির শীর্ষনেতৃত্ব বৈঠকে যোগ দেন। মোদী, বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তেলুগু দেশম পার্টি সভাপতি এন চন্দ্রবাবু নাইডু, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে, লোকজনশক্তি পার্টি নেতা চিরাগ পাসোয়ান বৈঠকে ছিলেন। তাঁরা এই বৈঠকে সরকার গঠনের দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেন।
শরিকদের উপর নির্ভরশীল বিজেপি
২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল বিজেপি। ফলে সরকার গঠন করার জন্য শরিকদের উপর নির্ভরশীলতা ছিল না। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। একক বৃহত্তম দল হলেও, ২৪০ আসন পাওয়ায়, সরকার গঠন করার জন্য শরিকদের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপি-কে। সরকার গঠনে বড় ভূমিকা থাকছে টিডিপি, জেডিইউ, শিবসেনা, এলজেপি-র। টিডিপি ১৬, জেডিইউ ১২, শিবসেনা ৭ ও এলজেপি ৫টি আসন পেয়েছে। এই দলগুলির সমর্থন নিয়েই টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মোদী। এনডিএ-র আসন সংখ্যা ২৯২। ফলে সরকার গঠন করতে কোনও সমস্যা নেই।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী, তারিখ জানিয়ে দিল বিজেপি