সংক্ষিপ্ত
এবারের লোকসভা নির্বাচনে সারা দেশেই বিজেপি-র আসন কমে গিয়েছে। ফলে এবার এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সরকার গড়ার জন্য অন্য দলগুলির উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এন চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলুগু দেশম পার্টি ও নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের উপর নির্ভর করেই এবার সরকার গঠন করতে হবে বিজেপি-কে। কিন্তু এনডিএ-র এই দুই শরিক দলের বিশ্বাসযোগ্যতা একেবারেই নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নীতীশ ও চন্দ্রবাবুর উপর নির্ভর করতে হচ্ছে বিজেপি-কে। শেষপর্যন্ত জেডিইউ ও টিডিপি সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বিজেপি-র সঙ্গে থাকবে কি না, সে বিষয়ে জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অতীতে একাধিকবার এনডিএ ছেড়েছেন নীতীশ। চন্দ্রবাবুও এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। ফলে তাঁরা এবার কী করবেন, সেটা নিয়ে অনেকেই সংশয়ে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিলেন দিলীপ ঘোষ।
বিস্ফোরক দিলীপ
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে জয় পান দিলীপ। কিন্তু এবার তাঁর কেন্দ্র বদল করে বর্ধমান-দুর্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কীর্তি আজাদের কাছে হেরে গিয়েছেন দিলীপ। তিনি এই হারের জন্য দলের একাংশের দিকেই আঙুল তুলেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রে সরকার গঠন করা নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। নীতীশ ও চন্দ্রবাবুকে আক্রমণ করে দিলীপ বলেছেন, 'নীতীশ কুমার, চন্দ্রবাবু নাইড বরাবরই পাল্টিবাজ। তাঁদের উপর কতটা নির্ভর করা উচিত হবে সেটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভাবা উচিত।'
এনডিএ-তে থাকবেন নীতীশ-চন্দ্রবাবু?
জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনা চলছে, ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে ১২টি আসন পেয়েছে জেডিইউ। ১৬টি আসন পেয়েছে টিডিপি। বিজেপি-র ২৪০ আসন-সহ এনডিএ-র মোট আসন ২৯২। শরিকরা একসঙ্গে থাকলে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সম্ভব। কিন্তু কোনও শরিক ইন্ডিয়া জোটে সামিল হলে বিপাকে পড়বে বিজেপি। এই কারণেই দলকে সতর্ক করে দিলেন দিলীপ।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বাংলায় ২৩টি সভা করেন নরেন্দ্র মোদী, সেগুলিতে কেমন রেজাল্ট? কোথায় জিত-কোথায় হার?
'সবাই কাঠি নিয়ে ঘোরে'! বিজেপি নেতাদের চক্রান্তেই হেরেছেন তিনি? বোমা ফাটালেন দিলীপ ঘোষ