সংক্ষিপ্ত

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরীর গ্রান্ড রোডের বড় ডান্নায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় একজন আহত হয়েছে। ভগবান বলভদ্রের রথ টানার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

 

পুরীতে রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পদপিষ্ট হয়ে পড়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনায় আহত হয়েছে প্রচুর ভক্ত ও দর্শনার্থী। এদিন বিকেল ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল প্রভ জগন্নাথদেবের রথ। সঙ্গে ছিল বলরাম ও সুভদ্রার রথও। কিন্তু রথের দড়িতে টান পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের মদ্যে হুড়োহুড়ি তৈরি হয়। সেই সময় পদপিষ্ট হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়। এই ঘটনায় একজন গুরুতর আহত হয়েছে। বাকি বেশ কিছু ভক্তের চোট লেগেছে।

দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পুরীর গ্রান্ড রোডের বড় ডান্নায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় একজন আহত হয়েছে। ভগবান বলভদ্রের রথ টানার সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশাসনিক কর্তারা আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, এবার রথযাত্রা উপলক্ষ্যে পুরী রয়েছে ভিড়ে ঠাসা।

রথযাত্রা ওড়িশার একটি প্রধান উৎসব। জগন্নাথদেবের রথের দড়িতে টান দিতে দেশ, বিদেশ থেকে আসে ভক্তের ঢল। একবার দড়ি টানাই থাকে মূল উদ্দেশ্য। তাই হুড়োহুড়ির মত ঘটনা ঘটে। যদিও রথযাত্রা উপলক্ষ্যে বিশাল শোভাযাত্রাও বের হয়। পুরীর শতাব্দী প্রাচীন জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে গুন্ডিচা মন্দির পর্যন্ত রথ টেনে নিয়ে যাওয়া যায়।

পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিসচালানদা সরস্বতী তাঁর শিষ্যদের নিয়ে ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রার রথ পরিদর্শন করার পর এবং পুরীর নামকরা রাজা 'ছেরা পাহাড়' (রথ ঝাড়ু দেওয়া) আচার সম্পন্ন করার পর রথ টানা শুরু হয়। শনিবারই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু তিনটি রথ পরিদর্শন করেন ও পুজো দেন।

৫৩ বছর পর বিরল যোগের কারণে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথির দিন বিকেলে রথের রশিতে টান পড়েছে এবার। একই কারণে এবার দুই দিন ব্যাপি রথযাত্রা পুরীতে। আজ কিছু দূর গড়িয়েই থেমে গেল রথের চাকা। ফের কাল শুরু হবে যাত্রা। আজ বলভদ্রের ৪৫ ফুট লম্বা কাঠের রথ প্রথম টানা হয়। তারপর নিয়ম মেনে জগন্নাথ ও সুভদ্রার রথের দড়িতে টান পড়ে।