সংক্ষিপ্ত

গত সপ্তাহেই ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে ৫৯টি চিনা অ্যাপ

তার মধ্যে ছিল ই-কমার্স সংস্থা 'ক্লাব ফ্যাক্টরি'

তাদের বিরুদ্ধে 'নকল মাল' বিক্রির অভিযোগে মামলা হল দিল্লি হাইকোর্টে

মামলা করল বিশ্বের বৃহত্তম বিলাস-পণ্য বিপণি সংস্থা 'লুই ভিটো'

 

গত সপ্তাহেই ভারতে নিষিদ্ধ হয়েছে ৫৯টি চিনা অ্যাপ। যারমধ্যে ছিল অন্যতম জনপ্রিয় চিনা ই-কমার্স সংস্থা 'ক্লাব ফ্যাক্টরি'। নিষিদ্ধ হয়েই অবশ্য নিস্তার মিলল না এই সংস্থার। আরও এক বড় ধাক্কা খেতে হল তাদের। 'নকল মাল' বিক্রির অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করল বিশ্বের বৃহত্তম বিলাস-পণ্য বিপণি সংস্থা 'লুই ভিটো'। তাদের দাবি, ক্লাব ফ্যাক্টরির পক্ষ থেকে ভারতে লুই ভিটো-র ব্র্যান্ড ব্যবহার করে নকল মাল বিক্রি করাল হচ্ছিল। যার মধ্যে রয়েছে ফেস মাস্ক-এর মতো চলতি মহামারি কালীন অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পণ্যও।

এই ফরাসি লাক্সারি ব্র্যান্ড আদালতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞার জারির আবেদন করেছে। এতে করে ক্লাব ফ্যাক্টরি এবং তার সহযোগী সংস্থাগুলি লুই ভিটো, এলভি লোগো, টোয়াল মনোগ্রাম, ড্যামিয়ার-সহ এই গোষ্ঠীর ট্রেডমার্ক দেওয়া পণ্য আমদানি, বিতরণ এবং বিক্রি করতে পারবে না।

ক্লাব ফ্যাক্টরি-র পক্ষ থেকে অবশ্য ইমেল করে দাবি করা হয়েছে, কোনও পণ্যের গুণমানের সঙ্গে আপোস না করার বিষয় নিশ্চিত করার বিষয়ে তারা কঠোর নির্দেশিকা অনুসরণ করে। বিশ্বের বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলির সঙ্গে তারা নিবিড়ভাবে কাজ করে এবং গ্রাফিকালি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সম্ভাব্য নকল পণ্যগুলি সনাক্তকরণের তারা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে। একবার কোনও সন্দেহজনক পণ্য পাওয়া গেলে, প্রযুক্তি দল তালিকাভুক্ত পণ্যটি হাতে কলমে পরীক্ষা করে। বিক্রেতার ব্র্যান্ড লাইসেন্সের নির্দেশিকা নিয়মিত যাচাই করার জন্য তারা আলাদা করে একটি দল-ও মোতায়েন করেছে।

লুই ভিটো সংস্থা এখনও এই ইমেল-এর কোনও সাড়া দেয়নি। গত শুক্রবার দিল্লি উচ্চ আদালতে এই মামলা  নথিভুক্ত করা হয়। ওই দিনই মামলাটির প্রথম শুনানি হয়েছে। ক্লাব ফ্যাক্টরির পক্ষের আইনজীবী যুক্তি দেন, এই সংস্থা একটি ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস। সরাসরি বিক্রেতা তারা নয়। অন্য বিক্রেতাদেরকে তারা তাদের প্ল্যাটফর্মে পণ্য তালিকাভুক্ত করার অনুমতি দেয়। নকল পণ্য দেখলেই ক্লাব ফ্যাক্টরি-র পক্ষ থেকে সেই পণ্যগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়।

আদালতের পক্ষ থেকে লুই ভিটো-র আবেদন অনুসারে অন্তর্বর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। আদালত ক্লাব ফ্যাক্টরি সংস্থাকে ৩০ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১৩ অগাস্ট।

অনেকেই এই জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমে জামা-কাপড় থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিলাস-পণ্য কিনতেন। কিন্তু, লাদাখ সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরে ২৯ জুন টিকিটক, শেইন, ক্যামস্ক্যানার, উইচ্যাট, ইউসি ব্রাউজারদের মতো ৫৯টি চিনা অ্যাপের সঙ্গে বাতিল হয় ক্লাব ফ্য়াক্টরির মোবাইল অ্যাপও। ফলে তাদের ই-কমার্স ওয়েবসাইট এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বর্তমানে ভারতে আর চলছে না।