সংক্ষিপ্ত

রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে রাজ্য জুড়ে বলে জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ২৩ জন লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে মঙ্গলবার COVID-19 কেসের মোট সংখ্যা ৭,৯৩,৫৩২ জন।

দেশে (India) ক্রমশই বাড়ছে করোনার (Corona Virus) প্রকোপ। এরই মাঝে চোখ রাঙাচ্ছে নয়া ভেরিয়ান্ট ওমিক্রন (Omicron)। এই পরিস্থিতিতে নাইট কার্ফু (Night Curfew) চালু করার সিদ্ধান্ত নিল মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh)। রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি থাকবে রাজ্য জুড়ে বলে জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে ২৩ জন লোক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে মঙ্গলবার COVID-19 কেসের মোট সংখ্যা ৭,৯৩,৫৩২ জন। করোনাতে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। এর ফলে রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০৫৩০। 

এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry) জানিয়ে দিল কোভিড ১৯ (Covid 19) এর নতুন রূপ ওমিক্রন ডেল্টার (Delta) তুলনায় কমপক্ষে কংপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণযোগ্য। মঙ্গলবার তেমনই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব। পাশাপাশি এই বিষয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে তিনি সতর্কও করেছেন। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে  রাজ্যে সরকারকে সক্রিয় থাকতে হবে। সমস্ত প্রবণতা ও বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করতে বলেছে। ওমিক্রন ডেল্টার চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বেশি সংক্রমণ যোগ্য। তাই স্থানীয় ও জেলা স্তরে আরও বেশি দূরদর্শীতা, তথ্য বিশ্লেষণ গতিশীল সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। এটির কঠোর ও তাতক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন বলেও রাজ্যসরকারগুলিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। 

চিঠিতে বলা হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান যেখানে ডেল্টার সংক্রমণ বেশি সেখানে স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ে আরও বেশি করে তথ্য বিশ্লেষণ ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিকে কঠোর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োজন বলেও জানান হয়েছে। 

রাজেশ ভূষণ আরও বলেছেন জেলা স্তরের কোভিড ১৯ সংক্রমণ রয়েছে, সেখানের জনসংখ্যা, ভৌগলিক বিস্তার, হাসপাতালের অবকাঠামোর দিকে সক্রিয় নজরের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি কন্টেনমেন্ট জোনের ওপর বিশেষ নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৯১টিরও বেশি দেশে করোনাভাইরাসের নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতেও দুশোর বেশি মানুষ ওমিক্রন আক্রান্ত। রাজ্যে-রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গবেষকদের ধারণা দক্ষিণ আফ্রিকায় যেভাবে ওমিক্রন হানা দিয়েছে, ভারতেও সেই ছবিরই প্রতিফলন ঘটবে। ফেব্রুয়ারি মাসে যদি সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা হয়, তবে এক মাসের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিড কেসের গড় সংখ্যা ১৫ ডিসেম্বর প্রায় ২৩ হাজারে পৌঁছেছিল। যা এখন ২০ হাজারের নীচে নেমে গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে।