সংক্ষিপ্ত

  • ১০ কংগ্রেস বিধায়ক ফিরতে চান দলে
  • জানিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের পুত্র
  • কমল নাথ সরকার সংকটে নেই, জানিয়েছেন নকুল নাথ
  • ৯২ কংগ্রেস বিধায়ককে জয়পুরে পাঠান হয়েছে

কংগ্রেস বিধায়কদের অবস্থান ঠিক কোথায়? জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ছাড়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও তা স্পষ্ট নয়।  ১৭ জন অনুগামী বিধায়ক নিয়ে দল ছেড়েছিলেন সিন্ধিয়া। যার মধ্যে ছিলেন রাজ্যের বেশ কয়েক জন মন্ত্রীও। সেই সময়ই জানা গিয়েছিল কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন বিধায়ক বিজেপি শাসিত রাজ্য কর্নাটকে চলে গেছেন। যদিও সমই সময় কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল দলের বিধায়কদের অপহরণ করে আটকে রাখা হয়েছে। এদিন অবস্য দেখা গেল অন্য ছবি। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন ১৯ বিক্ষুব্ধ বিধায়কের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে।  বেশ কয়েকজন বিধায়ক জানিয়েছেন তাঁরা সিন্ধিয়ার সঙ্গে যেতে রাজি। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে নয়। তাঁদের ভুল বুঝিয়ে বেঙ্গালুরু আনা হয়েছিল।  এখনও পর্যন্ত সূত্রের খবর মধ্যপ্রদেশের ২১ কংগ্রেস বিধায়ক তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। অপেক্ষায় রয়েছেন আরও ২৫ জন বিধায়ক। মধ্যপ্রদেশের স্পিকার এনপি প্রজাপতি জানিয়েছেন, যেসব বিধায়করা পদত্যাগ করেছেন তাঁদের তলব করা হতে পারে। জ্যোতিরাদিত্য কংগ্রেস ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ২২জন বিধায়ক পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের পদত্যাগপত্র খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন স্পিকার। 

 

সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগারের ভিত্তিতে রীতিমত সংকটে মধ্যপ্রদেশের কমল নাথ সরকার। ২৩০ আসনের মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় সরকার পক্ষে রয়েছে ১২১ বিধায়কের সমর্থন। বিপক্ষ বিজেপির দিকে রয়েছেন ১০৭জন।  এই পরিস্থিতিতে যদি কংগ্রেস বিধায়করা দলবদল করেন তাহলেই পড়ে যেতে পারে কমল নাথ সরকার। কিন্তু বুধবার সকালেই মধ্যপ্রদেশ সরকারের সংকট নেই বলেই আশ্বস্ত করেছেন কমল নাথের পুত্র নকুল নাথ। তিনি জানিয়েছেন বেঙ্গালুরুতে চলে যাওয়া দশ বিধায়াক দলে ফিরে আসতে চাইছেন। ১০ বিধায়কের দলে ফেরার বিষয়ে আশাবাদী নকুল নাথ। 

আরও পড়ুনঃ মধ্যপ্রদেশের সংকট নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল, সিন্ধিয়া নয় নিশানায় মোদি

অন্যদিকে দলের ৯৫ বিধয়ককে ধরে রাখতে মরিয়া কংগ্রেস। ভূপাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজস্থানে। বিমান বন্দরে বিধায়কেদের স্বাগত জানান রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়করা। রাজস্থানের বিশালবহুল বুয়েনা ভিস্তা রিসর্টে ৫২ টি ঘরের মধ্যে ৪২টি ঘর আগে থেকেই বুক করে রাখা হয়েছিল। বাকি ঘর গুলিও বুক করা হবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের একটি সূত্র।  মহারাষ্ট্রেও সরকার গঠনের আগে কংগ্রেস, বিজেপি, এনসিপি নিজের দলের বিধয়কদের আলাদা আলাদা রিসর্টে বন্দি করে রেখেছিল। এবার সরকার বাঁচাতে সেই পথেই হাঁটছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি নিজেদের বিধায়কদের নিয়ে গেছে গুরুগ্রামে।