সংক্ষিপ্ত
- মহারাষ্ট্রে বুধবার আস্থাভোট হচ্ছে না
- কিন্তু তারমধ্য়েও ঘোড়া কেনা বেচা বন্ধ নেই
- তাই বিধায়কদের এখন ব্য়াপক চাহিদা
- কিন্তু একজনকে প্রস্তাব দিতেই সাহস করচে না কেউ
মঙ্গলবার বিকেলে মহারাষ্ট্রে ভেঙে গিয়েছে মাত্র তিনদিন আগেই গঠিত বিজেপি সরকার। তাই আস্থা ভোটের প্রশ্নই উঠছে না। এখন শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস'এর সামনে সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জ। তাই বলে ঘোড়া কেনা-বেচা কি থেমে আছে? না, আস্থা ভোট না হলেও বিধায়কের চোরা শিকার বন্ধ হয়নি।
শেষ মুহূর্তে এদিক ওদিক হতে পারে অনেক কিছুই। কিন্তু ক্রয়যোগ্য বিধাযয়কের এই ব্যাপক চাহিদার মধ্যে নিশ্চিন্তে আছেন একজন মাত্র বিধায়ক, তাঁকে এমনকী কেউ প্রস্তাব দেওয়ার সাহসও করছে না। তিনি পালঘর জেলার দাহানু বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক বিনোদ নিকোলে। রাজ্যের একমাত্র বিজয়ী বাম প্রার্থী। গতবারের বিজয়ী প্রার্থী বিজেপির পাস্কাল ধানারে-কে তিনি ৪,৭৪২ ভোটে পরাজিত করেছেন।
বছর ৪৮-এর বিনোদ নিকোলে ছিলেন বড়াপাও বিক্রেতা। মহারাষ্ট্রের এইবারের বিজয়ী ২৮৮ জন প্রার্থীর মধ্যে তিনিই সবচেয়ে দরীদ্র, সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৫২,০৮২ টাকা। কিন্তু এরপরেও তাঁকে অর্থলোভ দেখাতে সাহস করছে না বিজেপি বা শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস কোনও পক্ষই। কারণ মহারাষ্ট্র সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক তথা থানে-পালঘরের সিটুর জেলা সম্পাদক বিনোদ নিকোলে-র সততা ও দলের প্রতি আনুগত্য একেবারে প্রশ্নাতীত। গত ১৫ বছর ধরেতিনি সিপিএম-এর সদস্য।
খোঁজখবর করেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও দূর্নীতি বা অন্য কোনও মামলারও সন্ধান পাওয়া যায় না। কাজেই তাঁকে ভয় দেখানও সম্ভব নয়। দলের কর্মসূচী রূপায়ণ ও তাঁর বিধানসভা এলাকার মানুষের সমস্যা দূর করাই তাঁর একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। তিনি জানেন, তাঁর এলাকার মূল সমস্যা অপুষ্টি ও চিকিৎসা পরিষেবার অভাব। এছাড়া পরিকাঠামোগত উন্নয়নও প্রয়োজন।
তাই বিধায়কদের চাহিদার মধ্য়েও তাঁকে সমঝেই চলছেন সব পক্ষ।