সংক্ষিপ্ত

মালিককে জে জে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইডি হেফাজতের সময়, মালিক কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের কাছে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক (Maharashtra minister Nawab Malik), বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হেফাজতে (arrested by ED) রয়েছেন। তাকে গ্রেফতার করার পরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন (hospitalised in Mumbai)। শুক্রবার অর্থাৎ ২৫ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসার কারণে মুম্বাইয়ের সরকারি জেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় নবাব মালিককে। মহারাষ্ট্র সরকারের এই মন্ত্রীর অফিস থেকে টুইট করা হয়েছে  "মাননীয় @nawabmalikncp সাহেবকে চিকিৎসার কারণে জেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।"

একজন আধিকারিক পিটিআইকে জানিয়েছেন যে মালিককে জে জে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইডি হেফাজতের সময়, মালিক কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের কাছে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কথা তুলে ধরেন। যার পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।"

এদিকে, ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিয়ায় থাকা আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের (Dawood Ibrahim) সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেকটরেট বা ইডি (ED) গ্রেফতার করে নবাব মালিককে (Nawab Malik)। নবাব মালিক মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী তথা শরদ পাওয়ারের দল এনসিপির (NCP) গুরুত্বপূর্ণ নেতা।  দীর্ঘ জেরার পর ২৩শে ফেব্রুয়ারি   তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতার পরই নবাব মালিক জানিয়েছেন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে মাথা নত করবেন না। তিনি বলেন 'আমরা লড়াই করব ও জিতব।' নবাব মালিকের গ্রেফতারির প্রতিবাদে পথে নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এনসিপি নেতা ও কর্মীরা। 

সূত্রের খবর গ্যাংস্টার দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নবাব মালিকের। দাউদের সহযোগীদের সঙ্গে বেআইনি লেনদেনও চালাতেন তিনি। বেআইনি একটি জমির লেনদেন মামলাও সামনে এসেছিল। তারই ভিত্তিতে জেরা করা হয় নবাব মালিককে। তবে এই মামলায় আগেই তাঁকে জেরার জন্য ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেননি বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি ইডি একাধিক অভিযান চালিয়েছিল। তারপরই  বেআইনি লেনদেনের ঘটনার কিছু তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। তারই ভিত্তিতে ইডি হেফাজতে নিয়েছিল দাউদের ভাই ইকবার কাসকারকে। সেই তদন্তেই জমি সংক্রান্ত লেনদেনে সামনে এসেছে নবাব মালিকের নাম। 

এদিন সকাল ৬টা নাগাদ ইডির আধিকারিকরা নবাব মালিকের বাড়িতে হানা দেয়। সেখানে ঘণ্টাখানেক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬২ বছরের নবাব মালিককে নিয়ে আসা হয়েছিল মুম্বইয়ে ইডির অফিসে। সেখানে তাঁকে দীর্ঘ জেরা করা হয়। প্রায় আট ঘণ্টা জেরার পরই মন্ত্রীকে  গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। 

তবে নবাব মালিককে গ্রেফতারের ঘটনা প্রতিবাদে সরব হয় এনসিপি নেতা কর্মীরা। বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার ও তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় তাতকর বলেছেন এই ঘটনায় তারা খব হতাশ। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাথা নত না করার পরিণাম বলে বর্ননা করেন গোটা বিষয়টিকে।