মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে এর মাঝেই লকডাউন ভেঙে পথে প্রাতভ্রমণকারীরা লকডাউনের বিধি ভঙ্গ করার শাস্তি দিল পুলিশ পথের মাঝে সকলকে দিয়ে করানো হল যোগা  

দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণের ঘটনা রয়েছে মহারাষ্ট্রে। আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে দ্বিতীয় দফায় আগামী ৩ মে পর্যন্ত ফের দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তারপরেও সামলানো যাচ্ছে না আমজনতাকে। বারবার পথে বের হতে নিষেধ করা সত্বেও এখনও সকাল হলেই মর্নিং ওয়াকে বের হচ্ছেন অনেকেই। লকডাউনের নিয়ম ভাঙায় এমনই একদল প্রাতভ্রমণকারীকে অভিনব শাস্তি দিল মহারাষ্ট্র পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার ভোরে পুনের বিবেওয়াদি এলাকায় প্রাতভ্রমণে বেরিয়েছিলেন কিছু স্থানীয়য় মানুষ। লকডাউন বিধি লঙ্ঘন করায় পুলিশ তাঁদের আটক করে। এখানেই অবশ্য শেষ নয়। রাস্তায় সাড়ি দিয়ে দাঁড় করিয়ে তাঁদেরও যোগব্যায়ামও করায় পুলিশ। ইতিমধ্যে প্রাতভ্রমণকারীদের শাস্তির সেই ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

Scroll to load tweet…

দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই করোনা সংক্রমণের কারণে সবচেয়ে সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে রাজ্যটিতে ২৩২ জনের সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেই করোনার শিকার হয়েছেন ১৮৩ জন। ফলে দেশের বাণিজ্য রাজধানীতে বর্তমানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার ছুঁই ছুঁই। পুনেতে সংখ্যা পাঁচশোর কাছাকাছি। যদিও মৃত্যুহার কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্টের করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এদের মধ্যে মাত্র ২ জন মুম্বইয়ের বাসিন্দা। আর পুনেতে গত বুধবার করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। 


লকডাউনের মাঝে জীবনযুদ্ধ, অসুস্থ বৃদ্ধ বাবাকে কোলে নিয়ে ছুটছেন ছেলে, ভাইরাল হল ভিডিও
এবার সংক্রমণের শিকার তবলিগি প্রধানের ২ আত্মীয়, দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ১২ হাজার
ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত চলবে লকডাউন, করোনা মোকাবিলায় সিদ্ধান্তের পথে রানির দেশ

দেশের মধ্যে সবচেয়ে করোনা প্রবণ রাজ্য হলেও মহারাষ্ট্রের হাটে-বাজারে এখনও মানুষের ভিড় চোখে পড়ছে। এদিনও লকডাউনের মাঝে মুম্বইয়ের বাইকুলা সব্জি বাজারে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই কেনাকাটা করতে ভিড় জমিয়েছিলেন বহু মানুষ। 
Scroll to load tweet…

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে জানিয়েছেন, রাজ্যটিতে এখনও পর্যন্ত ৫২ হাজার মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৮,১৯৮টি রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৬৯,৭৩৮ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। আর ৫,৬১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পৃথভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে করোনা মোকাবিলা করতে মহারাষ্ট্র সরকার ২টি কমিটিও গঠন করেছে। এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে যাতে গোষ্ঠী সংক্রমণ না ছড়ায় তার জন্য ৭ লক্ষ লোকের করোনা পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভা।