সংক্ষিপ্ত
এক বছর আগে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারিয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর
একই সঙ্গে রাজ্যেরও মর্যাদা হারিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিগণিত হয়েছে
বেশ কিছু বদল এসেছে উপত্যকার জনজীবনে
একবছর পর প্রাপ্তির আর অপ্রাপ্তির তালিকার পর্যালোচনা
দলীয় অ্যাডেন্ডা আর নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতই দ্বিতীয় বার দিল্লির ক্ষমতা দখলের পরই নরেন্দ্র মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিলেন জনসংঘের নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্য়ায়। কাশ্মীরের কারাগারেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। দীর্ঘ দিন ধরেই এটি ছিল বিজেপি মূল অ্যাজেন্ডার অন্তর্গত। গত বছর মে মাসে শপথ গ্রহণের পরই ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে তুলে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। একই সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে তৈরি করা হয় পৃথক দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। একটি জম্ম ও কাশ্মীর ও অন্যটি লাদাখ। লাদাখের মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হয়েছিল। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের রীতিমত খুশি হয়েছিলেন লাদাখের বাসিন্দারা।
বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা খুইয়েছে জম্মু কাশ্মীর - তারপর কেটে গেল এক বছর। কিন্তু স্থানীয়দের কথায় এখনও পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি জম্মু কাশ্মীরের জনজীবন। গোটা এলাকায় এখনও মোড়া হয়েছে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। টানা একশো দিনেরও বেশ ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল উপত্যকাবাসীর জীবন। কার্ফু আর কড়া নিষেধাজ্ঞার ঘেরাটোপে বন্দি থাকতে হয়েছিল লক্ষাধিক কাশ্মীরে। প্রায় থেকে গিয়েছিল উপত্যকাবাসীর জীবনের চাকা। কিন্তু সবকিছু কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে উপত্যকা। কিন্তু ৩৬৫ দিন পরেও পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
বাড়ি ফেরা হল না কাশ্মীরের বিজেপি নেতার, ওয়াসিম বারির মতই গুলিতে প্রাণ গেল সরপঞ্চের...
চিনা আগ্রাসন রুখতে তৈরি হিমাচল প্রদেশ, লাল ফৌজদের রুখতে গ্রামবাসীরা সামিল মিশনে...
আর কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর বেশ কয়েকটি পরিবার্ত আসে। সেগুলি হলঃ
পূর্বতন জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৫৪টি আইনের মধ্যে ১৬৪টি আইন বাতিল করা হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের স্কলারশিপ ২৬২ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেন্দ্র ১০০০ কোটি টাকার প্যাকেজও দিয়েছিল।
প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ৩৭০ ধারা রদের পর জম্মু ও কাশ্মীরে অনেকটিই কমেগেছে হিংসা। রীতিমত সক্রিয় রয়েছে সেনা বাহিনী। প্রশাসনের দাবি ৩৬ শতাংশ হিংসা কমেছে উপত্যকায়।
নাশকতা এড়াতে এখনও বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে আটক করে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। চলতি বছর গোড়ার দিকেই মুক্ত দেওয়া হয়েছিল অপর দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ ও তাঁর বাবা ফারুক আব্দুল্লাহকে। ফারুক আব্দুল্লাহ বর্তমানে লোকসভার সদস্য।