সংক্ষিপ্ত
- কাশ্মীরে শান্তি ফেরাতে রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ চাইলেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্ত মালালা ইউসুফজাই
- তাঁর দাবি জম্মু-কাশ্মীরের শিশুরা স্কুলে যেতে পারছেন না
- তবে তাঁর দেওয়া তথ্যে বড় ভুল বের করল নেটিজেনরা
- তাঁকে পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিয়ে মুখ খোলার পরামর্শ দিলেন বিজেপি সাংসদ
এবার কাশ্মীর নিয়ে মুখ খুললেন শান্তির জন্য় নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত পাকিস্তানি মালাল ইউসুফজাই। জম্মু কাশ্মীরের শিশুদের স্কুবলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করলেন রাষ্ট্রসংঘের কাছে। তবে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে মিলল বড় ফাঁক। আর তাঁর মন্তব্যের পরই তাঁকে বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়তে হল।
মালালার দাবি
শনিবার, পর পর বেশ কয়েকটি টুইটে মালালা জানান, সম্প্রতি তিনি কাশ্মীরে সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা তাঁকে জানিয়েছেন কাশ্মীরে একেবাহের শ্মশানের নৈস্তব্ধতা রয়েছে। সেনা বুটের আওয়াজ ছাড়া কিছু শোনা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানিয়েছেন এক ছাত্রী তাঁকে বলেছেন, তাদের স্কুলে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। গত ১২ অগাস্ট তাদের পরীক্ষা ছিল, সেই পরীক্ষাও দিতে পারেননি। এছাড়া কাশ্মীরে মহিলা ও শিশু-সহ ৪০০০-এরও বেশি মানুষকে বিনা কারণে জেলে বন্দি করা হয়েছে।
ভুল ধরল সোশ্যাল মিডিয়া
মালাল এই বক্তব্যে কিন্তু তথ্যগত ভুল বের করেছে সোশ্যাল মিডিয়া। নেটিজেনরা জানিয়েছেন কাশ্মীরি শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না এই অভিযোগ সঠিক নয়। তাদের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ অগাস্ট সমস্ত স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল। তার পরের দিন ১১ অগাস্ট ছিল রবিবার ছুটির দিন। তার পরের দুইদিন ১২ ও ১৩ তারিখ ইদ উপলক্ষ্যে কাশ্মীরের অধিকাংশ স্কুল ও মাদ্রাসাতেই ছুটি ছিল। মাঝে ১৪ অগাস্ট বাদ দিলে তারর পরের দিন ১৫ অগাস্ট আবার স্বাধীনতা দিবের ছুটি ছিল। কাজেই ১২ অগাস্ট কাশ্মীরি শিশু স্কুলে পরীক্ষাস দিতে যেতে পারেনি এই অভিযোগ সঠিক হতে পারে না।
বিজেপির আক্রমণ
মালালা রাষ্ট্রসংঘের নেতাদের কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর আবেদন করার পরই স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির নেতা সমর্থক কর্মীরা মালালাকে নিশানা করেছেন। অনেকেই চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি মনগড়া কাহিনি বলছেন অভিযোগ করেছেন। ১২ তারিখ ইদের দিন পরীক্ষা থাকার ভুল ধরিয়ে দিয়েও কম বিদ্রুপ হয়নি। এমনকী বিজেপির কর্নাটকের সাংসদ সোভা করণ্ডলাজেও আক্রমণ করেছেন মালালাকে। মালালার টুইটের পাল্টা টুইট করে তিনি বলেছেন, মালালার উচিত পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কিছুটা সময কাটানো। সংখ্যালঘু মেয়েদের পাকিস্তান কীভাবে জোর করে ধর্মান্তরিত করে, তাদের উপর কীভাবে অত্যচার চালায় তাই নিয়ে কথা বলা উচিত। তিনি দাবি করেন কাশ্মীরে বিকাশের মন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, কোনও দমননীতি চলছে না।