সংক্ষিপ্ত

পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীদের বৈঠকে অনুপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। কেই এগিয়ে এলে তাঁকে সমর্থন করবেন তিনি। 

পাঁচ দিনের সফরে দিল্লিতে রয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একগুচ্ছ রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।  পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রী বিরোধী হিসেবে সবথেকে জোরালো আওয়াজও তুলেছিলেন তিনি। ছত্তিশগড় যখন পেগাসাস ইস্যুতে তদন্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এককাঠি এগিয়ে দুই সদস্যের নেতৃত্বে পেগাসাস ইস্যুতে একটি তদন্ত কমিশনও গঠন করেছেন। কিন্তু বুধবার পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীদের ডাকা রাজনৈতিক বৈঠকে দেখাগেল না  তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সাংসদ বা নেতৃত্বস্থানীয় কাউকে। দিল্লি সূত্রে খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এই বৈঠক এড়িয়ে গেছেন। যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে জল্পনা।  তবে বিরোধীদের বৈঠকের পরই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

পেগাসাস সফটওয়্যারটি মোদী সরকার কিনেছে কিনা, একটাই প্রশ্ন করলেন রাহুল গান্ধী

সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তিনি ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস পেগাসাস ইস্যুতে সর্বদাই সামনের সারিতে রয়েছে। তবে পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি আরও বলেন 'আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করব।' সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, বিরোধী দলের নেতৃত্ব কে দেবে? তার উত্তরে মমতা বলেন তিনি কোনও জ্যোতিষি নন। কেউ এগিয়ে এলে তিনি অবশ্যই তাঁকে সমর্থন করবেন। 

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের ধাক্কা ভারতের অর্থনীতিতে, GDPর পূর্বাভার বদলাতে বাধ্য হল IMF

 রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের সভাপতিত্বে এদিন বিরোধীরা এদিন বৈঠক করেছিল। রাজ্যসভা আর লোকসভা উভয়কক্ষের বিরোধী সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। পেগাসাস ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে কোনঠাসা করার রণকৌশলন নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। এই বৈঠকের পরেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুলা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সরব হন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধিকাংশ বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা। 

UNESCO-র তকমা পেল 'ধ্বংসস্তূপ'ধোলাবিরা, ছবিতে দেখুন কেমন ছিল এই হরপ্পা সভ্যতার এই শরহটি

তৃণমূল সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফর রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক্যবদ্ধ করতে তৎপর তিনি। আর সেই মত এদিন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বাসভবেনে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কথা বলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও। অন্যদিকে গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন কংগ্রেসের দুই নেতা আনন্দ শর্মা আর কমলনাথের সঙ্গেও। অখিলেশ যাদব আর মায়াবতীর সঙ্গেও তৃণমূল কংগ্রেস যোগাযোগ রাখতে বলে সূত্রের খবর। এই অবস্থায় পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীরা যখন আগামী রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠক করছে তখন সেই বৈঠকে তৃণমূলের অনুপস্থিতি রীতিমত চোখে পড়ার মত বিষয় বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 

মমতা ববন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর ফোনও হ্যাক করা হয়েছে। তিনি কারও সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। তিনি আরও বলেন পেগাসাস না থাকলেও তিনি প্রশান্ত কিশোরা আর তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যদি কথা বলেন তবে ফোন হ্যাক হয়ে যায়। যদি একটি ফোন হ্যাক করা সম্ভব তবে বাকি গুলিও হ্যাক করা সম্ভব বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।