সংক্ষিপ্ত
৭৫ তম স্বাধীনতার একাধিক প্রকল্পের অংশ হিসাবে আগামী বছর ১৫ই অগাষ্ট দার্শনিক ও বিপ্লবী নেতা ঋষি অরবিন্দের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আগের বৈঠকে তাঁকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তাই তিনি অপমানিত। এই অপমানের প্রতিশোধ নিতেই ২৪তারিখ অর্থাৎ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) ডাকা বৈঠকে (conference) থাকবেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (West Bengal Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ৭৫ তম স্বাধীনতার একাধিক প্রকল্পের অংশ হিসাবে আগামী বছর ১৫ই অগাষ্ট দার্শনিক ও বিপ্লবী নেতা ঋষি অরবিন্দের (Rishi Aurobindo) জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতেই বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
মোদীর ডাকা সেই বৈঠকে যোগ দিতে রাজী নন মমতা। উল্লেখ্য, ২৪শে নভেম্বর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একাধিক ইস্যু নিয়ে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই ক্ষুব্ধ মমতা ২৪ তারিখের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
সরকারী আধিকারিক, শিক্ষাবিদ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একটি সভায় বক্তব্য রাখার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে করা বৈঠকে কথা বলার সুযোগ পেলে তিনি নিজের মতামত রাখতেন। কিন্তু সেই সুযোগ তাঁকে দেওয়া হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ার ঘটনাকে রাজনীতি বলে ব্যাখ্যা দিতে নারাজ মমতা। তিনি জানিয়েছেন সব কিছুর মধ্যে রাজনীতিকে রাখা ঠিক নয়। রাজ্যের তরফেও ঋষি অরবিন্দের ওপর একাধিক কর্মসূচি রাখা হয়েছে। তাই কেন্দ্রের বৈঠকে যোগ দেবেন না তিনি।
এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে জানান তাঁর অনুপস্থিতির কথা জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিতে। তৃণমূল সুপ্রিমো আরও জানান, রাজ্যের তরফে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী এবং মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানগুলি আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের আর্কাইভ, পুলিশ ফাইল এবং অন্যত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের সমস্ত রেকর্ড ও তথ্য জনগণের জানার জন্য ডিজিটালাইজ করা হবে। এর মধ্যে নেতাজি সম্পর্কে ডসিয়ারও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগের মোদী মমতা বৈঠকের অ্যাজেন্ডা ছিল রাজ্যের দীর্ঘদিনের বকেয়া পাওনা। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) এক্তিয়ার ১৫ কিলোমিটার থেকে ৫০ কিলোমিটারে বাড়ানোর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও তার আপত্তির কথা এদিন তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এর আগে বলেছিলেন যে কেন্দ্রের পদক্ষেপ শুধুমাত্র "সাধারণ মানুষকে অত্যাচার করা" এবং এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন মমতা।