সংক্ষিপ্ত
- প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়
- সেইসঙ্গে সুকৌশলে তুলে আনলেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ
- কেন্দ্রকে কীভাবে তোপ দাগলেন মমতা
দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারি বাজপেয়ীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। গত বছর স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন প্রয়াত হয়েছিলেন প্রবাদপ্রতিম এই রাজনীতিবিদ। এদিন তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-সহ বিশিষ্ট্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।
শুক্রবার তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে স্মরণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন টুইট করে মমতা বন্দোপাধ্যায় অটলবিহারি বাজপেয়ীকে প্রণাম জানান, সেইসঙ্গে তাঁর একটি উদ্ধৃতিও তুলে ধরেন নিজের টুইটে। তিনি লেখেন, "বন্দুক দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হয়না।সমস্যার সমাধান ইনসানিয়াত, জামহুরিয়াত ও কাশ্মীরীয়াত এই তিনটি নীতি দ্বারা সম্ভব।"
মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই টুইট থেকে কার্যত স্পষ্ট যে, কাশ্মীর ইস্যুতে প্রয়াত বিজেপি নেতার এই উদ্ধৃতি দিয়েই বর্তমান সরকারকে আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে আলাদা দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই ঘটনার আগে থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি থমথমে হয়ে যায়। তারপর একে সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বদের প্রথমে গৃহবন্দি, তারপর তাদের গ্রেফতারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। উপত্যকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় জম্মু ও কাশ্মীরে।
তারপর জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলের ভাল মন্দ প্রশ্নে না গিয়ে, যেভাবে কাশ্মীর পুনর্গঠন এবং সংরক্ষণ বিল পাশ করানো হয়েছে সেই পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, কাশ্মীর নিয়ে যে দুটি বিল কেন্দ্র পাশ করিয়েছে, তা অগণতান্ত্রিক, বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। আর এরপর ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে কৌশলে তোপ দাগলেন মমতা।