সংক্ষিপ্ত

  • নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর নিখোঁজের পরে কেটে গিয়েছে ৭৪টা বছর
  • ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট  নিখোঁজ হন তিনি
  • তাঁর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল তা আজও এক রহস্য সবার কাছে
  • তাই নিয়েই টুইট মুখ্যমন্ত্রী-র 

ভারতের গর্ব তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম একজন ছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু। এই বীর যোদ্ধা ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট তাইওয়ানের তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে বিমানে যাত্রা করেন এরপরই আর কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৭৪টা বছর। অথচ আজও তাঁর কোনও সুরাহা হয় নি। বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল আজও সেটা সবার অজানা। আর তাই নিয়েই রবিবার ১৮ অগাস্ট একটি টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি তাঁর টুইটে লিখেছেন 'আজকের দিনেই ১৯৪৫ সালে নেতাজী তাইওয়ানের তাইহুকু বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ হন। আমরা আজও জানি না এরপর কি হয়েছে। দেশমাতৃকার এই বীর সন্তানের বিষয়ে জানার অধিকার সকল দেশবাসীর আছে।'

তবে নেতাজির এই অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন আছে। যা থেকে উঠে আসে নেতাজি তাইহোকু বিমানবন্দর থেকে যে বিমাানটিতে করে যাত্রা করছিলেন সেই বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আর সেখানেই মৃত্যু হয় নেতাজির। তবে এই ঘটনার কোনও সঠিক তথ্য প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছেন নেতাজি গবেষক দল। তাঁর এই অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটন করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্যানেল কমিটি করেছিল। ১৯৫৬ সালে গঠিত হয়েছিল শাহ নওয়াজ কমিটি, ১৯৭০ সালে খোসলা কমিশন, ২০০৫ সালে মুখার্জি কমিসন গঠিত হয়েছিল। তবে তাতেও নেতাজির মৃত্যু বা নিখোঁজ রহস্যের কোনও আলোকপাত করা যায়নি।

অবশেষে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর মোদি সরকার জাপানকে সমর্থন করে ঘোষণা করেন বিমান দুর্ঘটনাতেই মৃত্যু হয়েছিল নেতাজির। তবে সে কথা মানতে চাননি অনেকেই। তাদের মতে আজও আত্মগোপন করে আছেন তিনি। তবে সত্যিটা ঠিক কী তা আজও সকলের অগোচরেই থেকে গিয়েছে। সেটা জানার কথা বলেই মমতার এই টুইট, যা ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।