সংক্ষিপ্ত
শনিবার ম্যাঙ্গালুরুর অটোরিকশাতে বিস্ফোরণ হয়। তাদে দগ্ধ হয়েছে অটো চালক ও এক যাত্রী। তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে এই সন্দহজনক ব্যক্তি।
শনিবার কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে একটি চলন্ত অটোরিক্সাতে বিস্ফোরণ হয় । আগুন লেগে যায়, গোটা এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। এই ঘটনায় অটো চালক ও এক যাত্রী দগ্ধ হয়েছে। পুলিশ যে ভিজ্যুয়ালে দেখা যাচ্ছে অটোরিকশায় আহুন ধরে যাওয়ার পর একটি ছোট্ট বিস্ফোরণ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ম্যাঙ্গালুরুতে অটোরিকশা বিস্ফোরণের একদিন পরে পুলিশের প্রধান প্রাবীণ সুদ রবিবার জানিয়েছেন, একটি একটি রহস্যময় বিস্ফোরণ। এর পিছনে কোন জঙ্গি যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ জনাকীর্ণ স্থানে নিরাপত্তা নির্দেশনা সহ রাজ্যব্যাপী সতর্কতা জারি করেছে। ম্যাঙ্গালুরু অটোরিকশা বিস্ফোরণ মামলা সংক্রান্ত কয়েকটি তথ্যঃ
১. তথ্য অনুযায়ী ম্যাঙ্গালুরু বিস্ফোরণের ব্যবহার করা হয়েছে একটি কম তীব্রতার আইইডি বোমা। বোমাটি আগে থেকেই একটি নির্ধারিত স্থানে রাখা হয়েছিল। পুলিশ সূত্রের খবর এক যাত্রী বিস্ফোরক-সহ একটি কুকার নিয়ে যাচ্ছিল। কুকারে ম্যাট প্যাটার্নে- সম্পর্কি উপকরণ, চারটি ডুরাসেল ব্যাটারি ও একটি সার্টিক টাইপের তার ছিল।
২. প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে যে যাত্রীর একটি জাল আধারকার্ড ছিল যা অন্য ব্যক্তির বিবরণ ছিল। পুলিশ ওই যাত্রীকে প্রেম রাজ কানোগি হিসেবে সনাক্ত করেছে। যদিও আইডি কার্ড ও অটোরিকশটা দুর্গা পরমেশ্বরী নামে রেজিস্ট্রার করা রয়েছে।
৩. সূত্রের খবর রেল স্টেশন রোড থেকে অটো রিকশায় ওঠেন এই যাত্রী। তিনি অটো চালক পুরষোত্তমকে পাম্পওয়েল সার্কেলে নিয়ে যেতে বলেন। এই এলাকাটি ম্যাঙ্গালুরু আর কেরলের উডুপি সীমানা।
৪. বেঙ্গালুরু থেকে ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অধিকারিকদের একটি দল এই বিষয়টি তদন্ত করতে বিস্ফোরণ স্থলে পৌঁছেছে। বোমা নিস্ক্রিয়করণ স্কোয়াড ও ডগ স্কোয়াডও বিস্ফোরণ স্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
৫. এই ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই একটি ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। চিরুনি তল্লাশির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বোম্বস্কোয়ডকেয
৬. পুলিশের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী ঘটনার মাস খানেক আগে সন্দেহজনক দুই ব্যক্তি একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল। তারা জানিয়েছিল তারা মোবাইল মেরামতির একটি দোকানে কাজ করে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই বাড়ির সন্ধান পেয়েছে। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তল্লাশি।
তবে কর্নাটক পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় সন্ত্রাস যোগ রয়েছে। আর একটি বড় ক্ষতিকার জন্যই জঙ্গিরা তোড়জোড় নিচ্ছিল। কিন্তু অল্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে আগে। আর সেই কারণেই কর্নাটক পুলিশ ও সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।