সংক্ষিপ্ত

মণিপুর নির্বাচনে এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে চলেছে আফস্পা (AFSPA) বা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। কারণ নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রামের ঘটনার পর থেকেই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে এই বিশেষ আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে।

উত্তর পূর্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য মণিপুরেও (Manipur) ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ। এই রাজ্যে দুই প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস ও বিজেপি (Congress Vs BJP)। এক্সিট পোলে  কংগ্রেস ও বিজেপি দুটি দলই একে অপরকে টক্কর দিয়েছে। তবে সরকার গঠনের বিষয়ে আশাবাদী বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস মনে করছে বিজেপিকে হারিয়ে তারাই মণিপুরের সিংহাসন দখল করবে। কিন্তু এই নির্বাচনে ন্যাশানাল পিপলস পার্টি, নাগা পিপিলস ফ্রন্ট, জেডি (ইউ)র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ অনেকেই মনে করছে ৬০ আসনের মণিপুর বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না। সেই কারণ মিলিঝুলি সরকার গঠনের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক দলগুলি গুরুত্ব পাবে। 


তবে মণিপুর নির্বাচনে এবার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে চলেছে আফস্পা (AFSPA) বা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন। কারণ নাগাল্যান্ডের ওটিং গ্রামের ঘটনার পর থেকেই উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিতে এই বিশেষ আইন প্রত্যাহারের দাবি উঠেছে। মণিপুরে বর্তমানে বিজেপির জোট সরকার রয়েছে। কিন্তু শরিক স্থানীয় দলগুলি বিশেষ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় রয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এখনও বিষয়টি আলোচনা পর্যালোচনার স্তরেই রেখেছে। এই অবস্থায় মণিপুর বিধানসভায় তার কিছুটা প্রভাব পড়বে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের দাবি ৬০এর মধ্যে ৪০টি আসন পাবে গেরুয়া শিবির। রাজ্যের দলীয়  কার্যলয়গুলিতে ইতিমধ্যেই সাজ সাজ রব উঠেছে। 

মৃত্যুপুরী ইউক্রেন, রাশিয়ার হামলায় নিহত কমপক্ষে ১০ সাধারণ নাগরিক

'আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপালে ক্ষতি হবে আপনাদেরও', ইউরোপকে কড়া হুঁশিয়ারি রাশিয়ার

নীল পোশাকের নিচে কি লুকিয়ে বিপাশার বেবি বাম্প, স্বামী করণের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন নেটিজেনদের
অন্য়দিকে কংগ্রেস মনে করছে বিজেপিকে হারিয়ে তারা আবার মণিপুরের ক্ষমতায় ফিরতে পারবে। কারণ বাম দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই কংগ্রেস নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। কারণ বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল কিছুটা হলেও সমস্যায় ফেলতে পারে গেরুয়া শিবিরকে। 

অনেকে বিজেপি নেতা টিকিট না পেয়ে জেডি(ইউ) বা এনপিপি-র মত দলে নাম লিখিয়েছেন। তারা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর কোনও দিকে যায় সেটাই এখন দেখার। তাই ভোটের ফল প্রকাশের পরও এই রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ জটিল হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।