সংক্ষিপ্ত

মণিপুরের নোনি জেলার ভূমি ধসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখনও শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪।

মণিপুরের নোনি জেলার ভূমি ধসের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখনও শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪। নিহতদের মধ্যে ২৩ জনই সেনা জওয়ান। নিখোঁজের সংখ্যা ২৮। যারমধ্যে ১৩ জনই সেনা বাহিনীর সদদ্য। 

টেরিটোরিয়যাল আর্মি ক্যাম্প লাগোয়া এলাকেই ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছিল বুধবার রাতে। টুপুল রেল  ইয়ার্ড নির্মাণ সাইটের কাছে সেনা বাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল। ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী, আসাম রাইফেলস, টেরিটোরিয়াল আর্মি এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিপর্যয় বাহিনী এক নাগাড়ে কাজ করে যাচ্ছে। কিন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকায় বারবার ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। 

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুক্রবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ এবং আহতদের জন্য ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে মণিপুর ভূমিধসে দার্জিলিং পাহাড়ের নয়জন জওয়ান (১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট) হতাহতদের মধ্যে রয়েছে জেনে মর্মাহত। মৃতদের জন্য গভীরভাবে শোকপ্রকাশ করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিহতদের আত্মীয়দের প্রতি সমস্ত আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। 

ইজেই নদীর গতিপথ বাধা পেয়েছে ভূমিধসের কারণে। নদীর জল স্থানীয় একটি বাঁধের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হয়ে নিন্মাঞ্চালতে প্লাবনের আশঙ্কা আরও বাড়বে। নোনি জেলার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয়দের নদীর তীর থেকে সরে যাওয়ারও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জরুরি বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। "আজ টুপুলে ভূমিধসের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য একটি জরুরী বৈঠক ডাকা হয়েছে। অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ইতিমধ্যেই চলছে। আসুন আজকে আমাদের প্রার্থনায় রাখি। অপারেশনে সহায়তা করার জন্য ডাক্তারদের সাথে অ্যাম্বুলেন্সও পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন হেল্পলাইন চালু করেছে। আবহাওয়া খারাপ থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে।