সংক্ষিপ্ত
কানাই লালের খুনিদের যখন আদালতে পেশ করা হয়েছিল- তখন ধৃতদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি উঠেছিল। পাশাপাশি পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান উঠেছিল।
জয়পুরের এনআইকে কোর্টে আক্রান্ত দর্জি কানাইলালের খুনিরা। উত্তেজিত জনতা দুই অভিযুক্তিকে ঘিরে ধরে। ধস্তধস্তি শুরু হয়ে যায়। দুই অভিযুক্তকেই মারধার করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিন জয়পুরের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (NIA) বিশেষ আদালতে পেশ করা হয়েছিল তাদের। তখনই দুই অভিযুক্তের ওপর চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। মারধর করা হয়। তাদের জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
উদয়পুরের দর্জি কানাই লালকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত হিসেবে উঠে এসেছে রিয়াজ আখতারি ও গোসা মহম্মদের নাম। তারা হত্যার ঘটনাতে ছড়িয়ে দেওয়া আরও বড় করে দেখানোর জন্য ভিডিও করেছিল । আর তা ছড়িয়ে দিয়েছিল। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তারা আগামী টার্গেট করার হুমকি দিয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। কানাইলালকে হত্যার কিছুক্ষণের মধ্যেই রিয়াজ আর গোসা কে গ্রেফতার করেছিল রাজস্থান পুলিশ। এতদিন তারা রাজস্থান পুলিশের হেফাজতে ছিল। কিন্তু এবার কানাই লালের হত্যাকাণ্ডে ধৃত চার অভিযুক্তকে একসঙ্গে ১২ জুলাই পর্যন্ত এনআইএ-র হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন কানাই লালের খুনিদের যখন আদালতে পেশ করা হয়েছিল- তখন ধৃতদের ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি উঠেছিল। পাশাপাশি পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান উঠেছিল। কারণ তদন্তকারীরা মনে করছেন হত্যাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ রয়েছে। রিয়াজের সঙ্গে যে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে তা স্পষ্ট হয়েছে তার ফোন কলের রেকর্ড থেকে।
দর্জি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত রিয়াজ আখতারির মোটরবাইক নম্বর ২৬১১। যা মুম্বই হামলাকে চিহ্নিত করে। পুলিশ সূত্রের খবর খুনি অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে বাইকের জন্য এই নম্বর প্লেট তৈরি করেছিলেন। এই গাড়িতে চড়েই গোস মোহম্মদ আর রিজায় আখতারি দর্জি কানাইলাল লালকেকে খুন করতে এসেছিল। তারা কানাইলালের গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল।
রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে রেজিস্ট্রেশন নম্বর RJ 27 AS 2611 র বাইকটির বর্তমান ঠিকানা উদয়পুরের ধানমান্ডি থানা। পুলিশ জানিয়েছেন রিয়াজ ২৬১১ এই নম্বর প্লেটটি দীর্ঘ দিন ধরেই দাবি করে আসছিল রেজিস্ট্রেশন অফিসে। আর এর জন্য ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছিল। সূত্রের খবর দূর্ঘ দিন ধরেই রিয়াজ আর মহম্মদ ছক খষেই দর্জি কানাইলালকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
উদয়পুরের পর এবার অমরাবতী। বিজেপির সাসপেন্ড হওয়ার নেত্রী নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করার আরও একজনকে হত্যা করল দুষ্কৃতীরা। মহারাষ্ট্রের অমরাবতী শহরে ৫৪ বছর বয়সী রসায়নবিদকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের অনুমান নূপুর শর্মার সমর্থনে পোস্ট করার জন্য যেমন উদয়পুরের দর্জি কানাইলালকে কুপিয়ে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে এক্ষেত্রেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। তবে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। জুন মাসে একটি টিভি ডিবেটে অংশ নিয়ে নবী মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র নূপুর শর্মা। তারপর থেকেই দেশের একাধিক এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে।