সংক্ষিপ্ত
এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'আমাদের বাহিনী লেইথু গ্রামে ঢুকে যাওয়ার পরে ১৩টি দেহ দেখতে পায়। বাহিনী মৃতদেহের পাশে কোনও অস্ত্র খুঁজে পায়নি।'
আবারও উত্তপ্ত মণিপুর। সোমবার টেংনুপাল জেলার আবারও গুলি চলেছে। এই গুলির যুদ্ধের পরে সেখানে অসম রাইফেলস এলাকায় একটি তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেখান থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন সোমবার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'আমাদের বাহিনী লেইথু গ্রামে ঢুকে যাওয়ার পরে ১৩টি দেহ দেখতে পায়। বাহিনী মৃতদেহের পাশে কোনও অস্ত্র খুঁজে পায়নি।' সরকারি সূত্রটি বলছে লেইথু এলাকার মৃত ব্যক্তিরা এলাকারই স্থানীয় বাসিন্দা। তারা অন্য কোথাও থেকে এসে অন্য গ্রুপের সঙ্গে গোলাগুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল এমনটাই হতে পারে।
গত ৩ ডিসেম্বর টেংনুপাল জেলার কুকি-জো উপজাতি গোষ্ঠীগুলি মেইতি জঙ্গি গোষ্ঠী, ইউএনএলএফ এর সঙ্গে ভারত সরকারের সঙ্গে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিল তাকে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও এজাতীয় ঘটনা নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসন।
মণিপুর সরকার রবিবার ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েকটি এলাকা বাদ দিয়ে রাজ্য জুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা ফিরিয়ে দিয়েছে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি ও মোবাইল ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞার কারণে জনগণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রাজ্য সরকার স্থগিতাদেশ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।' চান্দেল ও কাকচিং, চুরাচাঁদপুর ও বিষ্ণুপুর সহ একাধিক জায়গায় এখনও পর্যন্ত মোবাইল পরিষেবা চালু করা হয়নি।
মণিপুরে গত ৩ মে থেকেই মোবাইল পরিষেবার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ মে মাস থেকেই এই রাজ্যে কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে জতিগত হিংসা শুরু হয়েছিল। এই সংঘর্ষের জেরে এখনও পর্যন্ত ১৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।