সংক্ষিপ্ত

সেনা বাহিনীর উত্তর কমান্ড একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত মাসে জম্মুর ভাটা ধুলিয়ানের টোটাগালি এলাকায় আর্মির ট্রাকে অতর্কিতে জঙ্গি হামলায় পাঁচ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল।

 

শুক্রবার জন্মু ও কাশ্মীরের কান্দির জঙ্গলে সন্ত্রাসবাদী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে পাঁচ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে এক জন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদীদের নির্মূল করার জন্য একটি অভিযান শুরু করেছিল। সেনা বাহিনীর মূল উদ্দেশ্যে ছিল সম্প্রতি সেনা বাহিনীর ট্রাকে হামলার ঘটনায় পাঁচ সেনা জওয়ানের মত্যুর বদলা নেওয়া নেওয়া।

সেনা বাহিনীর উত্তর কমান্ড একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, গত মাসে জম্মুর ভাটা ধুলিয়ানের টোটাগালি এলাকায় আর্মির ট্রাকে অতর্কিতে জঙ্গি হামলায় পাঁচ সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল হামলাকারী সন্ত্রাসবাদীরা কান্দির জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। খবর পেয়েই সেখানে পাল্টা হামলার উদ্দেশ্যে যান। সূত্রের খবর সেনা বহিনীর সদস্যদের দেখতে পেয়েই জঙ্গিরা বিস্ফোরণ করে। যাতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য বিস্ফোরক ডিভাইস চালায়। সেনা বাহিনীর দলটি একজন অফিসার-সহ চারজন আহত হয়েছে। তবে এই হামলার পরেই সেনা বাহিনী পিছিয়ে আসছে না। সেনাবাহিনীর আরও দল এলাকা ঘিরে রেথেছে। এনকউন্টারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। আহতদের উধমপুর কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে চিকিৎসার জন্য । সেনা বাহিনীর প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী এলাকায় সন্ত্রাসবাদীদের ঘিরে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

অন্যদিকে রাজৌরি এলাকার ইন্টারনেট, মোবাইল পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেনা বাহিনীর অনুমান এই ঘটনা ২০২১ সালের অক্টোবর মাসের ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সেই সময়ই সন্ত্রাসবাদীদের অতর্কিত হামলায় পাঁচ জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল। তবে সেই সময় এক মাস অভিযান চালিয়েও কোনও জঙ্গিকেও পাকড়াও করতে পারেনি পুলিশ।

২০ এপ্রিলের ঘটনাঃ

নর্দার্ন কমান্ডের একটি সরকারী বিবৃতি অনুসারে তরফ থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিহত সেনারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সঙ্গে যুক্ত একটি রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের সদস্য ছিল। সেনা প্রধান জেনারেল মনোজ পাণ্ডে গোটা ঘটনা বিস্তারিতভাবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে জানিয়েছেন। সেনা বাহিনীর তরফ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, জওয়ানরা একটি গাড়িতে করে টহল দিচ্ছিল। সেই সময়ই তাঁদের গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালান হয়। সেনা বাহিনীর অনুমান গ্রেনেড হামলা চালান হয়। তাতেই গাড়িতে আগুন লেগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

সেনা বাহিনী সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা ৩টে নাগাদ রাজৈরি সেক্টরে ভিম্বারগালি ও পুঞ্চের মধ্যে চলন্ত গাড়িতেই হামলা চালান হয়। এই এলাকায় এদিন সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দৃশ্যমানতাও কম ছিল। সেই সুযোগ নিয়েই হামলা চালান হয়েছে বলে অনুমান করেছে সেনা কর্মকর্তারা। সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমে সেনা বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালান হয়। তারপরই সন্ত্রাসবাদীরা গ্রেনেড হামলা করেছিল। সেই কারণে গাড়িতে দ্রুত আগুনে ঝলসে গিয়েছিল পাঁচ জওয়ান। রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ইউনিটের পাঁচ কর্মী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই ঘটনায় তারা প্রাণ হারায়।