সংক্ষিপ্ত

আগুন লাগার ঘটনায় ভক্তদের যাত্রাপথের কোনও সমস্যা হবে না বলেও মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রা নির্বিঘ্নে চলছে। 

মাতা বৈষ্ণো দেবীর(Vaishno Devi) মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলে (Vaishno Devi shrine forest) ভয়াবহ আগুন (Massive fire) লাগল। মন্দির যে ত্রিকূট পাহাড়ে (Trikuta Hills) অবস্থিত, সেখান থেকে প্রায় সাত থেকে আট কিলোমিটার দূরে জঙ্গল এলাকায় আগুন লেগেছে বলে সূত্রের খবর। ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এলাকাবাসী থেকে ভক্তরাও। আঁধারে সেই দৃশ্যও রীতিমত ভয় ধরানো। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, মাতা বৈষ্ণো দেবী শ্রাইন বোর্ড (Mata Vaishno Devi Shrine Board) আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার টেন্ডার পাঠিয়েছে। তবে মন্দিরের বোর্ডের আধিকারিকদের মতে, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আপাতত চিন্তা নেই। 

এই আগুন লাগার ঘটনায় ভক্তদের যাত্রাপথের কোনও সমস্যা হবে না বলেও মন্দিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রা নির্বিঘ্নে চলছে। মঙ্গলবার এই আগুন লাগার খবর মেলে। বুধবার সকালে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন মন্দিরের বোর্ডের কর্মী ও দমকল কর্মীরা। তবে যে ত্রিকূট পাহাড়ে অবস্থিত এই মন্দির, সেই পাহাড়ের কোনও ক্ষতি সেভাবে হয়নি।

কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানান বৈষ্ণোদেবী ট্রাস্ট ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে কেন্দ্র। সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে কি থেকে এই আগুন লেগেছে, এখনও সেসম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। 

জুন মাসেও, বৈষ্ণোদেবী মন্দির চত্বরে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জম্মু কাশ্মীরের বিখ্যাত ধর্মস্থান বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের মূল চত্বরেই আগুন লাগে। ঘন কালো ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী ছেয়ে যায় আকাশে। দূর থেকে সেই ধোঁয়া নজরে আসে। কোনও ক্রমে প্রাণ বাঁচান নিরাপত্তরক্ষীরা। 

তবে আগুন লাগার কিছু সময় পরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, লকডাউনের জেরে কোনও পুণ্যার্থী সেসময় মন্দিরে উপস্থিত না থাকায়, বড় রকমের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে বাঁচা গিয়েছে। নয়ত বড় রকমের ক্ষতি হয়ে যেত পারত, প্রাণ যেতে পারত বহু মানুষের। এদিন শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ডের সিইও জানান, কোনও বড় ক্ষতি বা প্রাণহানি এই ঘটনায় হয়নি। কোনও ক্রমে বড়সড় ক্ষতি এড়ানো যায় সেবার। তবে মন্দিরে ভক্তদের উপস্থিতি সেভাবে না থাকাতেইক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি মন্দির কর্তৃপক্ষকে বলে অনুমান। 

পরে জানা যায়, মূল মন্দির চত্বরের কিছু দূরে এই আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। মন্দিরে কোষাগারে আগুন লাগার খবর মেলে, তবে তার সত্যতা জানা যায়নি। প্রাথমিক অনুমান শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে।