সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনিও কথা বলেছিলেন সফিকুলের সঙ্গে। সফিকুল তাঁকে জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। সফিকুল আরও বলেছিলেন, তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যই মোবাইলফোন নেই। রেলমন্ত্রী তাঁর প্রতিবেশীর মোবাইল নম্বর জানতে চান।
আজানের লাউডস্পিকারই ময়নাগুড়ি ট্রেন দুর্ঘটনায় (Maynaguri Train Accident) আহত এক ব্যক্তিকে ফিরিয়ে দিল তাঁর পরিবারের কাছে। আধুনিক এই যুগে যেখানে মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে গেছে প্রত্যন্ত গ্রামে সেখানেই শেষ পর্যন্ত জয়ী হল আজানের লাউডস্পিকার (Loudspeaker)। পশ্চিমবঙ্গে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন অসমের (Assam) বাসিন্দা সফিকুল আলি। তাঁর বাড়ি অসমের দারাং জেলার ধুলার গ্রামে। আহত অবস্থায় তাঁর চিকিৎসা চলছিল জলপাইগুড়ি সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু তিনি যে আহত হয়েছিলেন ট্রেন দুর্ঘটনায় সেই খবর বাড়িতে পৌঁছে দিতে পারছিলেন না।
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনিও কথা বলেছিলেন সফিকুলের সঙ্গে। সফিকুল তাঁকে জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। সফিকুল আরও বলেছিলেন, তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যই মোবাইলফোন নেই। রেলমন্ত্রী তাঁর প্রতিবেশীর মোবাইল নম্বর জানতে চান। তিনি এক প্রতিবেশীর মোবাইল নম্বর দেন। কিন্তু সেখানেও কোনও রকম যোগাযোগ করা যায়নি। রেলমন্ত্রীর উদ্যোগেও খোঁজ পাওয়া যায়নি কোনও পোস্টম্যানের।
সফিকুল আলির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের সবরকম চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পরই আশার আলো দেখায় আলির গ্রামের মসজিদ। গ্রামের মসজিদ নামাজের জন্য যে লাউডস্পিকার ব্যবহার করে সেটির মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় সফিকুল আলির ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার কথা। একই সঙ্গে আলি সম্পর্কিত সবরকম তথ্যও দেওয়া হয়। সেই ঘোষণার মাধ্যমে আলির পরিবারের তাঁর সম্পর্কে জানতে পেরে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আসম থেকে জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন আলির ভাই। তেমনই জানিয়েছেন এক রেল কর্তা।
পাটনা থেকে গুয়াহাটিগামী দূরপাল্লারট ট্রেনটি বিৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনের চার থেকে পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়। প্রতিটি কম্পার্টমেন্টেরই যথেষ্ট ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন একটি কামরা রেল লাইন থেকে ছিটকে জলে পড়ে যায়। রেল সূত্রের খবর সব মিলিয়ে প্রায় ১২টি কামরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৭টি কামরা। ট্রেনে প্রায় ৭০০ জন যাত্রী ছিলেন। এই ঘটনায় সাত জন রেল যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। রেল কর্তৃপক্ষের অনুমান, সিগন্যালে কোনও সমস্যা ছিল না। লাইনের সমস্যা থেকেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সব দিক খতিয়ে দেখতেই উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল।Goa Poll 2022: চার দিনের গোয়া সফরে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, চূড়ান্ত হতে পারে প্রার্থী তালিকা
BrahMos missile: ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কিনবে ফিলিপাইন, চুক্তি হতে পারে আগামী সপ্তাহেই
UP Election 2022: দলবদলে কোভিড বিধিভঙ্গ, সমাজবাদী পার্টি অফিসে ২৫০০ মানুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ