সংক্ষিপ্ত

  • আদালতের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করার অধিকার মিডিয়ার রয়েছে
  • এই মর্মে রায় প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত
  • সোমবার এক রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট 
  • আদালত জানিয়েছে এই অধিকার থেকে মিডিয়াকে বঞ্চিত করা সম্ভব নয়

সোমবার নির্বাচন কমিশনকে কার্যত ধাক্কা দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করার অধিকার মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যমের রয়েছে। এই মর্মে রায় প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত। এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় এই অধিকার থেকে মিডিয়াকে বঞ্চিত করা সম্ভব নয়। 

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ সোমবার নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন ও আবেদনকে কার্যত উড়িয়ে দেন। এর আগে নির্বাচন কমিশন আদালতকে আবেদন জানিয়ে ছিল যাতে আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত না হয়। তবে এই আাবেদন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। 

এরই পাশাপাশি, সম্প্রতি মাদ্রাজ হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য। করোনা পরিস্থিতি উপেক্ষা করেও নির্বাচন প্রক্রিয়া চালানোর সঙ্গে মানুষ খুন করার তুলনা টেনে এনেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল এজন্য কমিশনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা হওয়া উচিত। হাইকোর্টের এই শুনানি প্রতিটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। 

এরপরেই মাদ্রাজ হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের দাবি ছিল সংবাদমাধ্যমে আদালতের প্রক্রিয়ার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণি প্রকাশ করতে পারবে না। এই মর্মে রায় দিক আদালত। সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে এরকম রায় আদালত দিতে পারে না। মিডিয়া আদালতের মৌখিক পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করতে পারবে না, এমন নির্দেশ আদালত দিতে পারে না। 

শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হাইকোর্ট গণতন্ত্র রক্ষার অন্যতম স্তম্ভ। তার অধিকার খর্ব করা যাবে না। অন্যদিকে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যমে। তাদের অধিকারে হাত দেওয়ার অর্থ গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোকে অবমাননা করা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সমাজে ঘটে চলা নানা ঘটনার কথাই বিচারপতি তার রায়ে প্রতিফলিত করেন। সেই রায়ের ছবি সমাজের সামনে তুলে ধরে সংবাদমাধ্যম। তাই সংবাদমাধ্যমকে নিজের কাজ থেকে বিরত থাকার কথা বলা সম্ভব না।