সংক্ষিপ্ত
একাধারে তিনি কৃষক। অন্যদিকে তিনি একটি রেস্তোরাঁও চালান। তিনি সংকল্প সিং পরিহার। মধ্যপ্রদেশের ছোট্ট গ্রাম ধেজাগুয়াতে বিশ্বের সবথেকে দামি আম ফলাচ্ছেন তিনি। যে আমের দাম কিলো প্রতি আড়াই লক্ষ টাকা সেই আমই তিনি কিলোপ্রতি ২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চান বলে জানিয়েছেন।
একাধারে তিনি কৃষক। অন্যদিকে তিনি একটি রেস্তোরাঁও চালান। তিনি সংকল্প সিং পরিহার। মধ্যপ্রদেশের ছোট্ট গ্রাম ধেজাগুয়াতে বিশ্বের সবথেকে দামি আম ফলাচ্ছেন তিনি। যে আমের দাম কিলো প্রতি আড়াই লক্ষ টাকা সেই আমই তিনি কিলোপ্রতি ২ হাজার টাকায় বিক্রি করতে চান বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কেন তিনি এই মূল্যবাল ফল জলের দরে বিক্রি করতে চাইছেন তাই নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কারণ বিশ্বের মূল্যবান আম ফলিয়ে তিনি দেশের তো বটেই আন্তর্জাতিক মিডিয়ারও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
বিশ্বের বাজারে সঙ্কল্প সিংএর আমের দাম প্রায় কোটি টাকা। এই মূল্যবান আম তিনি পাহারা দেওয়ার জন্য রেখেছেন মাত্র তিন জন নিরাপত্তারক্ষী। তবে পাহারার মূল দায়িত্বই থাকে ৬টি হিংস্র জার্মান শেফার্ডের হাতে। সেগুলি ২৪ ঘণ্টার আমের বাগানের এপ্রাপ্ত থেকে ওপ্রান্ত দাপিয়ে বেড়ায়। সংকল্প সিং তাঁর বাগানে বিশ্বের সবথেকে দাবি আম মিয়াজাকি আম চাষ করেন। জাপানে এই আমের দাম কেজি প্রিত আড়াই লক্ষ টাকা। আর সংকল্পের বাগানে সেই একই জাতের আম ২১ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তিনি এখনও বিক্রি শুরু করেননি। আমের প্রচারের ওপরই জোর দিচ্ছেন তিনি। আপাতত আম তিনি বিক্রি করবেন না বলও জানিয়েছেন।
সংকল্প সিং জানিয়েছেন এখনই তিনি আম বিক্রি করতে চান না। তিনি আরও চারা রোপন করতে চান। পর্যাপ্ত পরিমাণের আমের উৎপাদনেই মূলত জোর দিচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন ভারতীয় বাজারে যাতে ২ হাজার টাকায় এই আম বিক্রি করা যায় সেদিকেই নজর দিচ্ছেন। ৪৬ বছরের সংকল্প তাঁর দুটি বাগান থেকে বছরে ৯ লক্ষ টাকা আয় করেন।
সংকল্প জানিয়েছেন মিয়াজাকি জাতের আম বেশি পরিমাণে হলে তা খোলা বাজারে বিক্রি করতে সুবিধে হবে। আর দামও অনেকটা কমে যাবে। সাধারণের সাধ্যের মধ্যে আসবে । তবে তার বাগানে মালাইকা, আম্রপালি, হাপুস, আলফোনসো, ল্যাংড়া, বোম্বে গ্রিনের মত আমের প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাছ রয়েছে। আম ছাড়াও পেয়ারা ডালিম ফলান তিনি।
তবে সংকল্পর বাগান দেখতে যেতে পারেন আপনি। সেই সঙ্গে আমও চাখতে পারবেন। এমনই নিয়ম চালু করেছেন তিনি। হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে। বাগান থেকে ২৫ কিলোমিটারের মধ্য়ে তিনি তা দিয়ে থাকেন। সাধারণ মানের আম ১৩০ -১৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করেন। তবে তাঁর বাগানের আশপাশের দরিদ্র মানুষের জন্য আমের দাম অনেকটাই কম। আবার অনাথ আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রমে তিনি দানও করেন বাগানের ফল।
তিনি জানিয়েছেন ২০১৬ সালে তিনি মিয়াজকি জাতের আমের কথা প্রথম শুনেছিলেন। চেন্নাই যাওয়ার পথে এক অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে এই জাপানি আমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলে। তাঁর কাছে এখনও তিনি কৃতজ্ঞ। তারপর চেন্নাই থেকেই খোঁজ করে তিনি চারা কিনেছিলেন। সেই ব্যক্তি তাঁকে সাহায্য করেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নাম না ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদিও সংকল্পর কথায় সেই ব্যক্তি তাঁর কাথে দেবদূতের সামিল। ২০১৬ সালে নিজের বাগানে প্রথম চারাগুলি লাগিছিলেন। তারপরই তা ফলতে শুরু করে।