সংক্ষিপ্ত
করোনা মহামারীর জন্য বিগত দুই বছরে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তাই কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত যে ২০২২ সালের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে।
অগ্নিপথ প্রকল্প- এই মূহুর্তে দেশের সবচেয়ে আলোচিত নাম। কি এই অগ্নিপথ প্রকল্প? সেনা বাহিনীতে স্বল্প মেয়াদে চুক্তির ভিত্তিতে সেনা কর্মী নিয়োগ করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে চলতি বছর কেন্দ্রীয় সরকার ভারতীয় সেনা বাহিনীতে প্রায় ৪৬০০০ তরুণকে নিয়োগ করা হবে। যাদের নাম দেওয়া হবে 'অগ্নিবীর'।
এই প্রকল্প শুরু হওয়ার সময়, সশস্ত্র বাহিনীতে সমস্ত নতুন নিয়োগের জন্য প্রবেশের বয়স সাড়ে সতেরো বছর থেকে ২১ বছরের মধ্যে রাখা হয়েছিল। তবে করোনা মহামারীর জন্য বিগত দুই বছরে নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি। তাই কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত যে ২০২২ সালের জন্য প্রস্তাবিত নিয়োগের ক্ষেত্রে এককালীন ছাড় দেওয়া হবে।
সেই অনুযায়ী, ২০২২ সালের জন্য অগ্নিপথ স্কিমের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বয়সের ঊর্ধ্ব সীমা ২৩ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ভারতীয় সেনায় চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের প্রকল্প চালু করেছে। সেনা বাহিনীতে মাত্র চার বছের জন্য নিয়োগ করা হবে। পরবর্তীকালে ইচ্ছুকদের স্থায়ীকরণ করার কথাও বলা হয়েছে। তবে সেটা মাত্র ২৫ শতাংশের জন্যই কার্যকর হবে। যা নিয়ে আপত্তি তুলছে দেশের বিরুদ্ধ এলাকায় সেনার পরীক্ষায় প্রস্তুতি নেওয়া পড়ুয়ারা।
অগ্নিপথ বিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইতিমধ্যেই বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। নীতিশ কুমারের পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ক্ষোভ বাড়ছে সরকারের বিরুদ্ধে।
বিতর্কিত 'অগ্নিপথ' সেনা প্রকল্পের সূচনা, জানুন কীভাবে নিয়োগ করা হবে ৪৫ হাজার 'অগ্নিবীর'
বিয়ের দু-মাসের মধ্যেই আলিয়া ভাট গর্ভাবতী? রণবীর ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে
আজ ফের রাহুল গান্ধীকে তলব ইডি অফিসে, সোমবার টানা ১০ ঘণ্টা জেরা কংগ্রেস নেতাকে
এদিকে, অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পর থেকেই যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। বিহার উত্তরাখণ্ড সহ মোট সাতটি রাজ্যে এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন স্থানীয় বাসিন্দা। সেনায় চুক্তির মেয়াদে কাজ পেতে রাজি নয় আন্দোলনকারীরা। বিহার, ঝাড়খণ্ডসহ একাধিক রাজ্যে বিক্ষোভকারীদের দাবি মূলত আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়ারাই সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করে নিশ্চিত চাকরির জন্য। কিন্তু সেখানেও যদি চুক্তির ভিত্তিতে মাত্র চার বছরের জন্য নিয়োগ করা হয় তাহলে স্থায়ী কাজ তাদের হাতছাড়া হয়ে যাবে। আর সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার এই পরিকল্পনা অবিলম্বে বাতিল করুক, তেমনই দাবি আন্দোলনকারীদের।
বিহার- অগ্নিপথ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলনে প্রথম থেকেই সামিল ছিল বিহার। এদিনও হিংসাত্মক আন্দোলনের ছবি ধরা পড়েছে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র। বিজেপি বিধায়কের গাড়িতে হামলা চালায় আন্দোলনকারীরা। বিজেপি ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়কের পাশাপাশি রেল অবরোধই করে আন্দোলনকারীরা। বিহারের গোপালগঞ্জে ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারী যুবকদের একটাই প্রশ্ন এভাবে সেনায় নিয়োগ করা হবে চার বছর পরে তাদের কী হবে।