Mizoram Assembly Election Results: মিজোরামে ৪০টি আসন দখলের লড়াই, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে চলেছে জেডপিএম

নির্বাচন কমিশনের প্রবণতা অনুসারে, ZPM ২৯টি আসন, MNF-৭, বিজেপি-৩ এবং কংগ্রেস-১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। মিজোরামের ৪০ টি বিধানসভা আসনের জন্য ৭ নভেম্বর নির্বাচন হয়। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ), জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম), কংগ্রেস এবং বিজেপি সহ অনেক দল নির্বাচনী ময়দানে ছিল। জোরাম পিপলস মুভমেন্ট সরকার গঠন করছে।

মিজোরামের পলক এবং সাইহা নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে বিজেপি প্রার্থী কে হরমো ৬০০ ভোটে এবং বিজেপি প্রার্থী ডক্টর কে বেইচুয়া ১২০০ ভোটে জয়ী হতে চলেছেন। 

মিজোরামে ১৫ বছরে তিনজন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন যে সময়ে এটি একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ছিল। রাজ্যটি ১৯৮৭ সালে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাওয়ার পর থেকে এই দুটি দলের শাসন দেখেছে। তাও মাত্র তিনজন মুখ্যমন্ত্রীর শাসনে। অর্থাৎ, মিজোরামে গত ৫২ বছরে মাত্র পাঁচজন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং এই ৩০ বছরের মধ্যে, অর্থাৎ ১৯৯৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত, সেখানে শুধুমাত্র দুটি মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন - কংগ্রেসের লাল থানহাওলা এবং MNF-এর জোরামথাঙ্গা।

এই বছর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়তে চলেছে জেডপিএম। জোরাম পিপলস মুভমেন্ট (জেডপিএম) প্রধান এবং মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালদুহোমা একজন প্রাক্তন আইপিএস অফিসার। লন্ডনে আন্ডারগ্রাউন্ড এমএনএফ নেতা লালডেঙ্গার সাথে আলোচনার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। পরে মিজো পিসিসির সঙ্গে তার মতপার্থক্য হয়। ZPM ২০১৭ সালে গঠিত হয়েছিল।

ZPM মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী লালডুহোমা বলেছেন, “...আমি একেবারেই বিস্মিত নই... সম্পূর্ণ ফলাফল বেরিয়ে আসুক... গণনা প্রক্রিয়া এখনও চলছে...” 

সকাল ১০টা পর্যন্ত মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনের ট্রেন্ড বলছে ZPM সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে। জেডপিএম ২৬টি আসনে এগিয়ে রয়েছে, ক্ষমতাসীন এমএনএফ ৯টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কংগ্রেস ২টি আসনে এবং বিজেপি ৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

ডেপুটি কমিশনার নাজুক কুমার জানিয়েছেন, ‘যে কোনও ধরনের বিজয় মিছিল এবং যে কোনও উদযাপনের জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’

মিজোরামের সেরছিপ জেলার একটি গণনাকেন্দ্রের ছবি প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে গণনাকেন্দ্রের বাইরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপ।

কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে মিজোরামে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোট গণনা করার কাজ।