সংক্ষিপ্ত
- হঠাৎ করেই সঙ্কটে কমলনাথের সরকার
- উধাও হয়ে গিয়েছেন ১০ বিধায়ক
- কংগ্রেস সরকার ফেলতেই বিজেপির চাল
- অভিযোগ করছে হাত শিবির
হঠাৎ করেই সঙ্কটে পড়ল মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের সরকারের সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিল। আর এই গোটা বিষয়টিতেই অভিযোগের তির যাচ্ছে বিরোধী গেরুয়া শিবিরের দিকে। কংগ্রেসের অভিযোগ তাদের আট বিধায়ককে হরিয়ানার হোটেলে আটকে রেখেছে বিজেপি। যার ফলে বর্তমানে মহা সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের সরকার।
সূত্রের খবর, আচমকাই মধ্যপ্রদেশ থেকে উধাও হয়ে গিয়েছেন কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলের ১০ বিধায়ক। মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকারকে ফেলে দেবার জন্য বিধায়ক কেনা বেচার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ করেছিলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা ও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। তাঁর অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস বিধায়কদের দল ভাঙার জন্য ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। আর তারপরেই মধ্যরাতে সঙ্কটে পড়ে কংগ্রেস সরকার।
আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত, কী করবেন আর কী করবেন না জানাতে দেখে নিন সরকারের নির্দেশিকা
এদিকে বিধায়ক উধাওয়ের খবর পেয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জিতু পাটোয়ারি সহ কমলনাথ সরকারের দুই মন্ত্রীকে গুরগ্রামের ওই হোটেলে পাঠায় কংগ্রেস। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের কং মন্ত্রিদের অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের হোটেলে ঢুকতে দেয়নি। হরিয়ানায় রয়েছে বিজেপি সরকার। ফলে হিরয়ানা পুলিশের উপর প্রভাব খাটাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তবে শেষপর্যন্ত মধ্যপ্রদেশের দুই মন্ত্রী অপহৃত কয়েকজনকে বের করে আনতে পেরেছেন বলেই খবর।
এদিকে অপহৃত ১০ বিধায়কের মধ্যে ইতিমধ্যে ৬ বিধায়ক বুধবার সকালে ফিরে এসেছেন বলে দাবি করছেন দিগ্বিজয় সিং। ফলে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস সরকারের পতনের কোনো আশঙ্কা নেই বলেই জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ। সূত্রের খবর, উধাও হওয়া ১০ বিধায়কের মধ্যে ২ বিএসপি, এক এসপি ও ৩ নির্দল বিধায়ক ফিরে এসেছেন। এদিকে ৪ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়ককে হরিয়ানা থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে।
আরও পড়ুন: প্রচুর জলীয়বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে, আজ বিকেলে ফের বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি
এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস বিধায়ক কেনার অভিযোগ তুলেলও মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহ্বান সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন। ২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ২ জন বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় বর্তমানে সদস্য সংখ্যা ২২৮। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গেলে প্রয়োজন ১১৪ জন বিধায়কের সমর্থন। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১১৪ জন বিধায়ক। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর বাকি ৪ নির্দল, ২ বিএসপি ও ১ সমাজবাদী বিধায়কের সমর্থনও ছিল কংগ্রেসের তরফে। বিজেপির হাতে বর্তমানে রয়েছে ১০৭ জন বিধায়ক। এই অবস্থায় বিজেপি আট জন বিধায়কের সমর্থন যোগাড় করে ফেলতে পারলেই মধ্যপ্রদেশের ছবিটা বদলে যেতে পারে।