সংক্ষিপ্ত
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন আগামী চারমাস বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশে। কিন্তু কেন এমন আবহাওয়া?
জুনমাসের শেষে দেশ জুড়ে চলবে ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত। ইতিমধ্যেই হলুদ এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশের একাধিক শহরে। আগামী চার-পাঁচ দিনে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব আরও বাড়বে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন আগামী চারমাস বৃষ্টিপাত হতে পারে দেশে। কিন্তু কেন এমন আবহাওয়া? উষ্ণ স্রোত এল নিনোর প্রভাবেই কি এই প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা? আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এল নিনোর প্রভাবে যে কেবল শুষ্ক আবহাওয়া হয় তা নয়। বরং এর প্রভাবে টানা বৃষ্টিও হতে পারে।
ভারতে কি এল নিনোর প্রভাবে তৈরি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি? এই প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এল নিনোর প্রভাবে কেবল উষ্ণ ও শুষ্ক আবহাওয়া তৈরি হতে পারে তাই নয়, এর প্রভাবে টানা বৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকে। এল নিনো কোথাও খরা আবার কোথাও বন্যা আনার ক্ষমতা রাখে।
কী এই 'এল নিনো'?
স্প্যানিশ শব্দ এল নিনো, যার অর্থ ছোট ছেলে। এল নিনো একটি উষ্ণ সামুদ্রিক স্রোত। যার প্রভাবে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে একাধিক দেশের আবহাওয়ায়। ২০১৫ সালে প্রথম প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা মিলেছিল এই এল নিনোর। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে ২০২৩ সালে ফের ফিরে আসতে সেই গরম স্রোত এল নিনো। যার ফলে জুলাই মাসে বর্ষার উপর পড়তে পারে বিরুপ প্রভাব।
চলতি বছরে দেশে বর্ষা প্রবেশে যথেষ্ট বিলম্ব হয়েছে। তবে দেরিতে হলেও গরম থেকে মিলেছে স্বস্তি। মৌসম ভবন জানিয়েছিল স্বাভাবিক ভাবেই পড়বে বর্ষা। কিন্তু এরই মধ্যে 'এল নিনো'-এর আশঙ্কায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশেষজ্ঞরা। 'এল নিনো'-এর প্রভাবেই কি প্রখর তাপে পুড়তে পারে ভারত? ভারতে সাধারণত জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করে। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত থাকে বর্ষার স্থায়ীত্ব। তবে আমেরিকার ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের গবেষকদের দাবি এই বছর এই সময়ই তৈরি হতে পারে শক্তিশালী 'এল নিনো'। যার প্রভাবে প্রবল গরম পড়তে পারে দেশজুড়ে।