সংক্ষিপ্ত

  • সিএবি বিতর্কের মধ্যেই ঢাকে কাটি পড়ল এনআরসি-র
  • বেঙ্গালুরুতে ফর্ম বিলি করা শুরু করল এক মসজিদ
  • মুসলিমরা যাতে ফর্মে ভুল না করেন সেই কারণেই এই ব্যবস্থা
  • ওয়াকফ ববোর্ড এই নির্দেশ দিয়েছে

 

নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের দুটি নীতি নিয়ে বর্তমানে সারা দেশে চর্চা চলছে -  জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি) এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা সিএবি। দুটি ক্ষেত্রেই একেবারে ভাগ হয়ে গিয়েছেন দেশের মানুষ। একাংশ একে সমর্থন করছেন, আরেক অংশ প্রবলভাবে বিরোধিতা করছেন। সদ্য নাগরিকত্ব আইন পরিবর্তনে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। কিন্তু বিলের বিরোধিতায় একেবারে আগুন জ্বলছে উত্তরপূর্বের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। এরমধ্য়েই বেঙ্গালুরুতে এনআরসি নিয়ে নড়ে চড়ে বসলেন মুসলিমরা।  

অসমে-ই প্রথম এনআরসি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় প্রচুর ত্রুটি আছে বলে অভিযোগ। তারমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু, চলতি শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে অমিত শাহ জানিয়েছেন শিঘ্রই গোটা দেশেই চালু করা হবে এনআরসি। ফলে এই নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এরই মধ্যে, বেঙ্গালুরুর এক মসজিদ থেকে স্থানীয় মুসলিমদের এনআরসি ফর্ম পূরণে সাহায্য করার জন্য নিজেরাই একটি করে ফর্ম বিলি করা শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, এনআরসি-র ফর্মের সঙ্গে সকলকে ভুল না করে ফর্মপূরণ করা রপ্ত করানোর জন্য ছদ্ম পরীক্ষাও নেওয়া হচ্ছে।

নভেম্বর মাসের শুরুতেই বেঙ্গালুরুর সুন্নি ওয়াক্ফ বোর্ড কর্ণাটকের সমস্ত মসজিদে একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, মসজিদ কর্তৃপক্ষকে দেখতে হবে স্থানীয় মুসলিমরা যাতে বিনা বাধায় এনআরসি তৈরির প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন। সরকারি নথিতে কোনও ভুল-ত্রুটি যাতে না হয়, বা হলেও সহজে যাতে সেগুলি সংশোধন করা যায় সেই বিষয়ে স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়কে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর জন্য মসজিদ কর্তৃপক্ষকে যাবতীয় নথিপত্র-সহ স্থানীয় মুসলিমদের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মসজিদকেও নিশ্চিত করতে হবে একজন মুসলিমও যেন তাঁর নাগরিকত্ব প্রমাণে অসুবিধার সম্মুখীন না হন। এরপরই বেঙ্গালুরুর ওই মসজিদ থেকে স্থানীয় মুসলিমদের মধ্যে নিজেদের তৈরি এনআরসি ফর্ম বিলি করা শুরু হয়েছে।