রোড অ্যাক্সিডেন্ট প্রিভেনশন ইন্ডিয়া: জানেন কি ভারতের কোন শহরে সড়ক দুর্ঘটনার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক? দিল্লি, বেঙ্গালুরু, জয়পুর এবং আহমেদাবাদে দ্রুত গাড়ি চালানো এবং অসাবধানতার কারণে হাজার হাজার প্রাণহানি হয়েছে। জেনে নিন টপ ৫-এর শহরগুলির অবস্থা...
Most Dangerous Cities for Road Accidents: ভারতে সড়ক সুরক্ষা একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয়। ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, জয়পুর এবং আহমেদাবাদ শহরগুলি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক। দ্রুত গতি, অসাবধানতা, এবং অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। মাত্র এক বছরেই হাজার হাজার মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে, যা দেখায় যে দেশে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতার জরুরি প্রয়োজন।
কোন শহরগুলি সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং কেন?
দিল্লি এই তালিকায় শীর্ষে, যেখানে ৯৩৮টি সড়ক মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এরপরে বেঙ্গালুরুতে ৭৯৩, জয়পুরে ৭১৮ এবং আহমেদাবাদে ৫৩৫টি মৃত্যু হয়েছে। এই শহরগুলিতে খোলা রাস্তা, দ্রুত গতি এবং গাড়ি চালনায় অসাবধানতা প্রধান কারণ। আহমেদাবাদে ৪৬২টি মৃত্যু প্রায় ৮৬%-অনিয়ন্ত্রিত রাস্তায় হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সেতু এবং ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা এবং ফ্লাইওভার কি বিপজ্জনক?
আহমেদাবাদে সেতু এবং ফ্লাইওভারে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনা শহরটিকে বিপজ্জনক করে তুলেছে। ইসকন ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় নয়জনের মৃত্যু এবং ১৩ জন আহত হয়েছেন। ট্র্যাফিক লাইটযুক্ত রাস্তায় ২১টি মৃত্যু, পুলিশ নিয়ন্ত্রিত রাস্তায় ৩২টি এবং অনিয়ন্ত্রিত রাস্তায় ২০৫টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এই পরিসংখ্যান স্পষ্ট করে যে অনিয়ন্ত্রিত রাস্তা এবং দীর্ঘ, খোলা রাস্তা গাড়িচালকদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক।
কেন বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, দ্রুত গাড়ি চালানো, অসাবধানতা, মদ্যপান করে গাড়ি চালানো এবং মোবাইল ব্যবহার করা প্রধান কারণ। দীর্ঘ খোলা রাস্তা এবং কম অন্ধকার বাঁকের কারণে চালকরা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে উৎসাহিত হন। এছাড়াও, রাস্তা নির্মাণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবও দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ।
সমাধান কি সম্ভব?
সড়ক সুরক্ষা উন্নতি, কঠোর আইন প্রয়োগ এবং জনসচেতনতা অভিযানই এই মৃত্যু রোধ করতে পারে। ট্র্যাফিক আইন মেনে চলা এবং অনিয়ন্ত্রিত রাস্তায় সতর্কতার সাথে গাড়ি চালানো জরুরি। সেতু এবং ফ্লাইওভারে সুরক্ষা বৃদ্ধি, স্পিড ক্যামেরা এবং সতর্কতা সংকেত স্থাপন করা প্রয়োজন। ২০২৩ সালের প্রতিবেদন দেখায় যে, কেবল সাবধানতা এবং নিয়ম মেনে চলাই আপনার জীবন রক্ষা করতে পারে। কে জানে পরবর্তী দুর্ঘটনা কোন রাস্তায় ঘটতে পারে?


