সংক্ষিপ্ত

বিমানবন্দরের দরজা দিয়ে মেয়েকে দেখতে পেয়ে প্রাণ যেন হাতে পেলেন সলোনির বাবা মা। স্বাভাবিকভাবেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সলোনির মা।

সেখানে যুদ্ধ (Russia-Ukraine war) চলছে। একের পর এক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। শহর তখন রুশ সেনার (Russian Troops) দখলে প্রায়। সেই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন (Ukraine) ছেড়েছিল সলোনি। বলা যেতে পারে প্রাণ হাতে করে। আর ভারতে তখন হয়ত ইষ্টনাম জপছিলেন সলোনির বাবা মা। একটাই চাওয়া ছিল তখন, মেয়ে কোনওভাবে সুস্থ শরীরে বাড়ি ফিরে আসুক। সেই চাওয়া নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। খবর পেলেন মেয়ের বিমান নেমেছে। তখন থেকেই চোখ দুটো খুঁজছিল সেই পরিচিত মুখটাকে। বড় আশা নিয়ে যাকে পড়তে ইউক্রেনে পাঠিয়েছিলেন। 

বিমানবন্দরের দরজা দিয়ে মেয়েকে দেখতে পেয়ে প্রাণ যেন হাতে পেলেন সলোনির বাবা মা। স্বাভাবিকভাবেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি সলোনির মা। মেয়েকে জড়িয়ে স্বস্তির হাসি আর উদ্বেগের চোখের জল মিলে মিশে গেল দিল্লি বিমানবন্দরে। মিষ্টি মুখ করে দেশের মাটিতে নেমে যেন নতুন করে জীবন পেলেন সলোনি। 

এদিন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আবারও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) সঙ্গে। এই নিয়ে যুদ্ধ শুরুর ১২তম দিনের মধ্যে দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চলেছেন। সরকারি সূত্রের খবর এদিন বিকেলের দিকে প্রধানমন্ত্রী ফোন করতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্টকে। 

আগেই তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। সেইসময়ই তিনি আলোচনার মাধ্যমে ইউক্রেনের সঙ্গে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। ইউক্রেনের অভিযোগ রাশিয়া সামরিক অভিযান করে গোটা বিষয়টিকে দাবি করলেও সাধারণ মানুষরা নিষ্কৃতী পাচ্ছে না যুদ্ধ থেকে। রুশ সেনারা আবাসিক এলাকাতেও হামলা চালাচ্ছে। গতকালই রুশ সেনার ক্ষেপণাস্ত্র উড়িয়ে দিয়েছে একটি বেসমারিক বিমানবন্দর। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভারী আর্টিলারি ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হমলার অভিযোগ তুলেছে ইউক্রেন। 

অন্যদিকে মারিউপোল নিয়ে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। তাদের দাবি এই শহরে প্রায় ৬ দিন ধরে রুশ সেনা বাহিনীর স্থানীয় বাসিন্দাদের আটকে রেখেছে। অধিকাংশ মানুষই রুশ হামলার হাত থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু সেখানেই খাবার আর জলের সংকট দেখা দিয়েছে। গোটা শহরে বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ আর জল পরিষেবা।  রাশিয়ার হামলার কারণে ভেঙে পড়েছে সমস্ত নাগরিক পরিষেবা। 

এই শহরে শুক্রবার ৫ ঘণ্টার যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। এই সময়ের মধ্যেই সাধারণ নাগরিকদের শহর ছেড়ে পালাতে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ইউক্রেনের অভিযোগ যুদ্ধ বিরতি ভেঙে রুশ সেনা গোলা-গুলি বর্ষণ করে। তাতে ব্যহত হয়েছে উদ্ধারকাজ। যদিও রাশিয়া উদ্ধারকাজ ব্যহত হওয়ার জন্য ইউক্রেন প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে।