সংক্ষিপ্ত
এক পুরুষের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিল মা ও মেয়ে
আর তার থেকেই ঘটে গেল একটি হত্যাকাণ্ড
ঘটনার পর হত্যাকারী ছড়িয়েছিল একটি বিভ্রান্তিকর গল্প
তবে মাত্র তিন ঘন্টাতেই সেই ঘটনার সমাধান করে ফেলল পুলিশ
চাঞ্চল্যকর ঘটনা উত্তরপ্রদেশের বেরিলি জেলায়। মা ও তার প্রেমিকের হাতেই খুন হতে হল এক ১৯ বছরের কিশোরীকে। তার অপরাধ, সেও ভালবাসত ওই একই পুরুষকে, আর সম্প্রতি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। খুনের পর মা আবার সবাইকে বিভ্রান্ত করতে সাজিয়েছিলেন একচি হামলার গল্প। কিন্তু, পুলিশ মাত্র তিন ঘন্টার মধ্যেই রহস্যের সমাধান করে দুই আসামীকে গ্রেফতারও করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার। নিহত কিশোরীর নাম উষ্মা। ওইদিন বেরিলির সুভাষনগর থানার পুলিশের কাছে তাদের বাড়িতে রাত্রিবেলায় তিনজন অজ্ঞাতপরিচর আততায়ীর হামলার অভিযোগ করেছিল উষ্মার পরিবার। সেই হামলায় ছুরির আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছিলেন তার মা মুকেশাও। তাদের পরিবার আরও জানিয়েছিল, ঘটনার সময় অন্য সকলে ঘুমিয়ে ছিল। মুকেশার চিৎকারেই সবার ঘুম ভেঙেছিল। তবে ততক্ষণে হামলাকারীরা চম্পট দিয়েছে।
তদন্ত করতে নেমেই পুলিশ সন্ধান পেয়েছিল কওশর নামে স্থানীয় এক যুবকের। কওশরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল উষ্মার। আর কওশর-কে ধরে চাপ দিতেই আসল গল্পটা জানতে পেরেছিল পুলিশ। জানতে পেরেছিল মুকেশার সঙ্গেও কওশরের অবৈধ সম্পর্কের কথা। আর এই জোড়া সম্পর্ক নিয়ে কওসরের বাড়িতে অশান্তি এবং সেইসঙ্গে উষ্মার বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ার কথা।
কী ঘটেছিল সেই রাতে? পুলিশ সুপার শৈলেশ পান্ডে জানিয়েছেন র বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, "বৃহস্পতিবার ভোরে উষ্মাদের বাড়িতে কোনও আততায়ী নয়, এসেছিল কওসর। সে উষ্মাকে অন্য ঘরে নিয়ে যায়। সরল বিশ্বাসে উষ্মা সেই ঘরে যেতেই সেখানে লুকিয়ে থাকা মুকেশা তার গলায় একটি দোপাট্টা জড়িয়ে ধরেছিল। কওসর ও মুকেশা মিলেই তাকে হত্যা করে। তারপর গল্প সাজানোর জন্যই মুকেশা কওশরকে একটি ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কওশর চলে যাওয়ার পরই, মুকেশা বাড়ির আর সবাইকে ডেকেছিল।