সংক্ষিপ্ত

গত ১০ বছরে ২৫ বার আলাদা আলাদা পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পালিয়ে যেতেন মহিলা। তবে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কোনও অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রত্যেকবার।

অদ্ভুত কাহিনী। অসমের একজন মধ্যবয়সী মুসলিম মহিলা (Mother-of-three) ২৫বার বিভিন্ন পুরুষের (different men) সাথে পালিয়ে (elopes 25 times) গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। গত ১০ বছরে (ten years) ২৫ বার আলাদা আলাদা পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে পালিয়ে যেতেন ওই মহিলা। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কোনও অভিযোগ ছাড়াই তাঁকে ফিরিয়ে নিয়েছেন প্রত্যেকবার।  

টাইমস নাওয়ের প্রতিবেদনে প্রকাশ, মধ্য অসমের নগাঁও জেলার প্রত্যন্ত ধিং লাহকর গ্রামে পেশায় একজন চালক মফিজউদ্দিনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার পর ৪০ বছর বয়সী মহিলা ১০ বছরে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে ২৫ বার পালিয়ে যান। তাঁর স্বামী জানান ২০১১ সালে বিয়ের পর দশ বছরে তাঁর স্ত্রী প্রায় ২৫ বার অন্যদের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। প্রতিবার, পরিবারে ফিরে আসার পর, সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে সে আর এটা করবে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

পালিয়ে যাওয়ার পর ফিরে এসে ওই মহিলা একাধিকবার দাবি করেছিল যে সে তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল, বা কখনও জানায়, অসুস্থ আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। ওই মহিলার স্বামী মফিজউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, তাঁদের তিনটি সন্তান আছে। বাচ্চাদের যত্নের কথা বিবেচনা করেই তাঁর পরিবার ওই মহিলাকে ফিরিয়ে নেয়। 

মফিরউদ্দিন আরও জানিয়েছে শনিবার বাড়িতে তিন মাসের শিশু সন্তান ফেলে রেখে তার স্ত্রী আবার পালিয়ে যায়। প্রতিবেশির বাড়িতে তার শিশু সন্তানকে রেখে যায় সে। ছাগলের জন্য খাবার আনার অজুহাতে বাড়ি থেকে পালায় ওই মহিলা। এবার সে সঙ্গে করে ২২ হাজার টাকা ও অন্যান্য দামী জিনিস নিয়ে পালিয়েছে বলে খবর। তবে এবার ফিরে এলে ফের তাকে বাড়িতে জায়গা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মফিজউদ্দিন। 

মহিলার দুটি নাবালক ছেলে এবং একটি মেয়ে রয়েছে। তার কনিষ্ঠ ছেলের বয়স মাত্র ৩মাস। বড় সন্তান একটি মেয়ে যার বয়স ছয় বছর। তার অন্য ছেলের বয়স ৩ বছর।