সংক্ষিপ্ত

১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন স্বামীনাথন।

প্রয়াত কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথন। ভারতের 'সবুজ বিপ্লবে'র জনক হিসেবে পরিচিত স্বামীনাথনের বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দুর্ভিক্ষ রুখে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে সূচনা হয়েছিল ‘সবুজ বিপ্লব’-এর। কৃষিক্ষেত্রে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ছয়ের দশকের শেষের দিক থেকে দেশজুড়ে শুরু হয় এই নয়া বিপ্লব। উন্নত বীজ, জলসেচের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনা হয়। মূলত পশ্চিম ভারত ও পঞ্জাবের এই সংস্কারের কাজ শুরু হয়। তবে 'সবুজ বিপ্লবের সাফল্য নিয়ে সংশয় এবং বিতর্ক রয়ে গিয়েছে। যদিও তৎকালীন ভারতে উদ্ভূত খাদ্য সঙ্কট এবং খাদ্যশস্যের জন্য বিদেশি রাষ্ট্রনির্ভরতা অনেকটা কমানো গিয়েছিল।

১৯৭২ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চের ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন স্বামীনাথন। ২০০৭ সাল ও ২০১৩ সালে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁকে। কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১৯৭১ সালে রমন ম্যাগসাইসাই পুরস্কারে সম্মানিত করা হয় তাঁকে। স্বামীনাথন পদ্মশী, পদ্মভূষণ এবং পদ্মবিভূষণ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

ভারতীয় কৃষিবিজ্ঞানীর শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিজের এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন,'কৃষিতে বৈপ্লবিক অবদানের বাইরেও ডক্টর স্বামীনাথন ছিলেন উদ্ভাবনী ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। বহু মানুষের পথপ্রদর্শক ছিলেন তিনি। গবেষণার প্রতি তাঁর সঙ্কল্প বহু বিজ্ঞানী এবং গবেষককে অনুপ্রাণিত করেছিল।' শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন,'স্বামীনাথনের মতো শ্রেষ্ঠ প্রতিভা আমাদের গর্বিত করেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। তাঁর পরিবার, বন্ধু এবং অগণিত অনুরাগীকে সমবেদনা জানাই।'