সংক্ষিপ্ত
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে নির্যাতিতা গোপনাঙ্গ দিয়েও রক্ত ঝরছিল। পুলিশের অনুমান নির্যাতিতা মানসিক প্রতিবন্দ্বী । সাতনা থেকে নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মাত্র একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশের বয়ানে কিছু অসঙ্গতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী , বলা যেতে পারে উদ্ধারকারী ধর্ষিতার যে বিবরণ দিয়েছে রা রীতিমত ভয়ঙ্কর ও পৈশাচিক। চলন্ত অটোতে ১২ বছরের মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক অটো চালককে গ্রেফতার পরেছে উজ্জয়িনীর পুলিশ। আটক করা হয়েছে আরও তিন জনকে।
পুলিশ সূত্রের খবর এলাকার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করা হয়েছে। প্রথমে নির্যাতিতা কিশোরীকে স্কুল ড্রেসে দেখা গিয়েছে। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নির্যাতিতাকে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে নির্যাতিতা কিশোরী রাস্তা দিয়ে সাহায্যের আর্তি জানিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় হেঁটে যাচ্ছে। পুলিশের অনুমান সোমবার ভোরবেলা এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মেয়েটির ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার হয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে নির্যাতিতা গোপনাঙ্গ দিয়েও রক্ত ঝরছিল। পুলিশের অনুমান নির্যাতিতা মানসিক প্রতিবন্দ্বী । সাতনা থেকে নিয়ে এসে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে নির্যাতিতা কিরোশী প্রয়াগরাজ নয়, মধ্যপ্রদেশের সাতনার বাসিন্দা। যা উজ্জয়িনী থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে। পুলিশের প্রশ্ন এত দূরে মাত্র ১২ বছরের মেয়েটি কী করে এল, তাকে কি কেউ নিয়ে এসেছে ? যদিও উত্তর এখনও অধরা। তবে সানতা পুলিশ জানিয়েছে নির্যাতিতা কিশোরী রবিবার থেকেই নিখোঁজ ছিল। সে সাতনায় তার দুই ভাইয়ের সঙ্গে থাকত। তারাই নিখোঁজ ডায়েরি করেছে।
নির্যাতিতাকে উদ্ধার করেছিল এক পুরোহিত। সেই পুরোহিতের বয়ান আরও ভয়ঙ্কর। যা রীতিমত মাথা হেঁট করে দেয় তথা কথিত শিক্ষিত মানুষের। উদ্ধারকারী বা নির্যতিতার ত্রাতা পুরোহিত উজ্জয়িনীর বদনদগর রোড এলাকার একটি আশ্রমের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর নাম রাহুল শর্মা। তিনি জানিয়েছেন, ১২ বছরের নির্যাতিতাকে তিনি আশ্রমের সামনে প্রথমে দেখেন। সোমবার সকালে তিনি আশ্রম থেকে বেরিয়ে ছিলেন। সেই সময়ই তিনি মেয়েটিকে দেখতে পানে। মেয়েটির সারা শরীরে রক্তের ক্ষত। প্রায় অর্ধনগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল। কথা বলার শক্তি টুকু ছিল না। একটি ছেঁড়া কাপড় দিয়ে কোনও রকমে লজ্জা নিবারণের চেষ্টা করছিল। তিনি জানিয়েছেন এই অবস্থায় দেখার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নির্যাতিতাকে নিজের গায়ের চাদরটি দিয়ে দেন। তারপরই দ্রুত আশ্রমে নিয়ে যান। প্রথমে ১০০ ডায়াল করেন। কিন্তু কোনও সাড়া পাননি। তারপরই তিনি মহাকাল থানায় ফোন করেন। তার মাত্র ২০ মিনিট পরেই পুলিশ আশ্রমে আসে। ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরাও। কিন্তু পুলিশ দেখে নির্যাতিতা রীতিমত ভয় পায়।
রাহুল শর্মা আরও জানিয়েছেন, তারা সকলে মিলেই নির্যাতিতার নাম ও ঠিকানা জানার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নির্যাতিতা কোনও কথাও বলতে পারেনি। রাহুল আরও জানিয়েছেন, নির্যাতিতা শুধুমাত্র তাঁকেই বিশ্বাস করেছিল। তাঁর কাছেই আশ্রয় চেয়েছিল। তবে পুলিশ দ্রুত ১২ বছরের মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে নির্যাতিতা এখন স্থিতিশীল। মেডিক্যাল টেস্টে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। চিকিৎসার প্রয়োজনে এক পুলিশ কর্মী রক্ত দিয়েছে। আরও ভাল চিকিৎসার জন্য নির্যাতিতাকে ইন্দোর পাঠান হয়েছে।