সংক্ষিপ্ত

আরব দুনিয়া থেকে ইরান - এমনকি এশিয়া ইউরোপ -সহ একাধিক দেশেই মহরম পালন করেন সিয়া সুন্নি উভয় সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ।

২৯ জুলাই মহরম। মুসলিমদের শোকের পরব। ইতিমধ্যেই কলকাতা সহ একাধির মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় তাজিয়া বার হয়ে গেছে। চলতি বছর মহরমের উৎসবে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট ড্রাম বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শব্দবিধি মানতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কলকাতা পুলিশও ধারালো অস্ত্র অতশবাজি নিয়ে ধর্মীয় মিছিলের ওপর নিষেধাজ্ঞআ জারি করেছে।

যাইহোক কেন পালন করা হয় এই উৎসবঃ

আরব দুনিয়া থেকে ইরান - এমনকি এশিয়া ইউরোপ -সহ একাধিক দেশেই মহরম পালন করেন সিয়া সুন্নি উভয় সম্প্রদায়ের মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষ। মূলত কারবালার যুদ্ধে শহিদদের কথা স্মরণ করে ও হজরত মহম্মদের নাতি ইমাম হোসেনের মৃত্যুর কথা স্মরণ করে এই বিশেষ দিনটি পালন করা হয়।

মুলসিম ধর্ম অনুযায়ী বর্তমানে ইরাকে ইয়াজিদ নামের এক অত্যাচারী শাসক ছিলেন। তিনি নিজেকে আল্লাহর থেকেও বড় মনে করতেন। আল্লাহর প্রতি তাঁর কোনও শ্রদ্ধা ছিল না। তিনি বিশ্বাসও করতে না। তবে তাঁর নিদের দলে টানার চেষ্টা করেছিলেন পয়গম্বর মহম্মদের নাতি ইমাম হোসেনকে। কিন্তু ইমাম হোসেন তা নাকচ করে দেন। তারপরই যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইয়াজিদ। ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে বাগদাদ থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে কারবালার ময়দানে যুদ্ধের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল যুযুধান দুই বাহিনীর। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর আগে ইমাম হোসেন তাঁর দলের লোকেদের সঙ্গে নামাজ পড়ছিলেন। সেই সময়ই অতর্কিতে হামলা চালায় ইয়াজিদ। একসঙ্গে ৭২ জনের মৃত্যু হয়। তবে ইমাম পালিয়ে যান। কিন্তু মরুভূমিতে আটকে পড়েন। জল আর খাবারের অভাবে মারা যান। এই ঘটনাকে মাথায় রেখেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আশুরা পালন করে।

মুসলিম ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস হল মহরম। এই মাধ্যমেই হিজরি সাল শুরু। মহরম মাস শুরুর ১০ দিন পরেই প্রাণ গিয়েছিল ইমামের। এই দিনই পালন করা হয় দুঃখের পরব মহরম।

মুসলিমদের মধ্যে দুটি সম্প্রদায় রয়েছে- সিয়া আর সুন্নি। আশুরাক দিন শিয়ারা তাজিয়া নিয়ে বার হয়। সুন্নিরা অন্যভাবে পালন করে এই উৎসব। তারা নহরম মাসের শুরু থেকে ১০ দিন রোজা রাখে। এই দিনগুলিতে বিশেষ প্রার্থনার ব্যবস্থা করে তারা।