সংক্ষিপ্ত

এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন পাটোলে। তারপরই তিনি জানিয়েছেন পাওয়ার সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছেন

 

বেঙ্গালুরু থেকেই বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' ঘোষণা করেছিল পরবর্তী বৈঠক হবে মুম্বইতে। কিন্তু দিনক্ষণ সেই সময় কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। শুক্রবার মহারাষ্ট্র কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলে জানিয়েছেন বিরোধী জোন 'ইন্ডিয়া' র পরবর্তী বৈঠক হবে ১৫ অগাস্ট অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের দিবসের পরে। তিনি আরও জানিয়েছেন অগাস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে বা সেপ্টেম্বরের মাসের প্রথম সপ্তাহে বিরোধী জোটের বৈঠক হতে পারে। ২৬টি দলের সম্মতিতে জুলাই মাসে বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছিল 'ইন্ডিয়া' র। প্রথম বৈঠক হয়েছিল পাটনায়। নীতিশ কুমারের উদ্যোগে।

এনসিপি প্রধান শারদ পাওয়ারের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন পাটোলে। তারপরই তিনি জানিয়েছেন পাওয়ার সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে বৈঠক করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে দিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তিনি বলেছেন জোটের বাকি দলগুলির সঙ্গে কথাবার্তা বলেওই দিন চূড়ান্ত করা হবে।

কংগ্রেস সূত্রের খবর এই প্রথম বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' র সভা এমন একটি রাজ্যে হবে যেখানে জোটের কোনও দলই ক্ষমতায় নেই। কারণ এর আগে পাটানায় প্রথম বৈঠক হয়েছিল - সেখানে ক্ষমতায় ছিল নীতিশ কুমার। দ্বিতীয় বৈঠক হয়েছিল বেঙ্গালুরুতে। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস বা এনসিপি কেউই ক্ষমতায় নেই।

বিরোধী জোটের সদস্যগুলির কাছ থেকে ইতিমধ্যেই নূন্যতন কমন মিনিমান প্রোগ্রাম চাওয়া হয়েছে। দেশের উন্নয়ন আর অগ্রগতিতে মাথায় রেখেই কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে বলেও বিরোধীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। অন্যদিকে ঘৃণা বিভাজন, আর্থিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই হবে গুরুত্বপূর্ণ। স্বৈরাচার ও গণবিরোধী রাজনীতির মুক্ত হবে নতুন ভারত। এই আদর্শ নিয়ে বিরোধীরা পথে নামবে বলেও জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। মুম্বইয়ের সভার পরই বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া' তাদের কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।

কিন্তু তার আগেই সংসদে বিরোধী ঐক্য প্রদর্শন করছে জোটের দলগুলি। একত্রিত হয়ে অচল করে দিয়েছে সংসদ। মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে রয়েছে। এখনও জোটে চিড় ধরাতে পারেনি সরকার পক্ষ। প্রধানমন্ত্রী মোদী থেকে শুরু করে অমিত শাহ ও কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রী বিরোধীদের আক্রমণ করতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। বিরোধীরা সংসদের ভিতরে ও বাইরে একত্রিয় হয়ে আন্দোলন করেছে। আগামী দিনে বিরোধী জোট আরও বড় আন্দোলনে নামতে পারে বলেও মন করেছে রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিরা।