সংক্ষিপ্ত
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি তার পারিবারিক অফিস খুলতে চলেছেন সিঙ্গাপুরে।পৃথিবীর অতি-ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই সিঙ্গাপুরকে বেছে নেন তাদের পারিবারিক অফিসের জন্য । এবার সেই ফুটপ্রিন্ট অনুসরণ করছেন অম্বানিও
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি তার পারিবারিক অফিস খুলতে চলেছেন সিঙ্গাপুরে। সূত্রের খবর মুম্বাইভিত্তিক এই বিলিয়ানিয়ার সিঙ্গাপুরে নতুন অফিস স্থাপনের আগেই কর্মীনিয়োগের বিষয়াটি নিয়ে বিশেষভাবে ভাবছেন। জানা গেছে সিঙ্গাপুরের অফিসে কর্মীনিয়োগের জন্য এবং অফিস চালানোর জন্য ইতিমধ্যেই ম্যানেজার খুঁজে ফেলেছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের এই নতুন অফিসের কথা শুনে অনেকেই মনে করছেন যে অম্বানিরা নতুন করে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায় নামছেন।যদিও রিলায়েন্সের মুখপাত্রের তরফ থেকে এখনো বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি তবুও আম্বানির গতিবিধি দেখে অনেকেই মনে করছেন এমন।
পৃথিবীর অতি-ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা পড়েন তাদের মধ্যে অনেকেই সিঙ্গাপুরকে বেছে নেন তাদের পারিবারিক অফিসের জন্য। পৃথিবীতে সবচেয়ে ধনী গোষ্ঠীগুলিকে নিয়ে সম্প্রতি একটি সংস্থা গঠন করা হয়েছে। যার নাম হেজ ফান্ড। বিলিয়নিয়ার রে ডালি ও গুগল এর সহ প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনও ছাড়াও অন্যান্য আরও অনেক ধনী সদস্য হিসাবে সদস্য হিসাবে যোগদান করেন এই সংস্থায়। সেই দৌড়ে সামিল হয়েছেন অম্বানিও।
সিঙ্গাপুরকে পারিবারিক অফিস স্থাপনের প্রধান জায়গা হিসাবে বেঁচে নেওয়ার অনেক কারণ বিদ্যমান। যার মধ্যে প্রধান দুটি হলো কম ট্যাক্স ও নিরাপত্তা। সিঙ্গাপুর মনিটারি অথরিটির অনুমান ২০২১ সালের শেষ নাগাদ সেখানে বৈদেশিক সংস্থার অফিস নির্মাণের জন্য জায়গা ছিল ৭০০ টি যা ২০২০র তুলনায় ৪০০ টি বেশি। কিন্তু সিঙ্গাপুর উপকূলে বিশ্বব্যাপী ধোনিদের ভিড়ের কারণে এখন সেখানে গাড়ি , আবাসন ও অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। উপ- প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওঁ একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন যে সিঙ্গাপুরের অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্যাক্সের পরিমান বাড়ার কারণে ধনীরা আরও বেশি পরিমান করের মুখোমুখি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আম্বানির ক্ষুদ্র সাম্রাজ্যকে বিশ্বব্যাপী করতেই তার এমন পদক্ষেপ। এছাড়াও ভারতের বাইরেও সম্পদ অর্জনের জন্য এটি তার একটি পরিকল্পনা বলে মনে করছেন অনেকেই। অনেকেই এর নামকরণ করছেন রিলায়েন্সের আন্তর্জাতিকরণের সূচনা।
রিলায়েন্স ২০২১ সালের এপ্রিলে স্টোক পার্ক লিমিটেডের জন্য ৭৯ মিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এছাড়াও জেমস বন্ডের চলচিত্রের সেটের জন্যও বিনিয়োগ করতে দেখা গেছিলো তাকে। পরবর্তীকালে জানুয়ারিতে আম্বানি ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল নিউয়র্ক নামে একটি কোম্পানির ৭৩.৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব কেনেন ৯৮.১৫ মিলিয়ন বিনিয়োগ করে। এবছর দুবাইতে ৮০ মিলিয়নের একটি সৈকত- সাইড ভিলাও কিনেছেন তিনি।
ব্লুমবার্গ ওয়েলথ ইনডেক্স অনুসারে আম্বানির সম্পত্তির মূল্য বর্তমানে আনুমানিক ৮৩.৭ বিলিয়ন, তিনি চান সিঙ্গাপুরের এই পারিবারিক অফিসটিকে এক বছরের মধ্যে চালু করতে । তার স্ত্রী নীতা আম্বানিও এটি স্থাপনে সহায়তা করছেন তাকে।
রিলায়েন্স তার তেল পরিশোধন এবং পেট্রোকেমিক্যাল ব্যবসা থেকে ই-কমার্স, গ্রিন এনার্জি প্রভিতি বিষয়গুলির ভারত জুড়ে বিস্তৃতির দিকে এগিয়ে চলেছে। ২০২০ সালে, এর উদ্যোগ জিও প্লাটফর্ম লিমিটেড তৈরী হয় যা নেটওয়ার্কিং সিস্টেমে বিপ্লব এনে দিয়েছে।
আরও পড়ুন দ্রুত ভারতের বাজারে আসছে E-rupee ডিজিটাল মুদ্রা, জানুন এর অন্যতম বৈশিষ্ট্যগুলি
আরও পড়ুন এই পদ্ধতিতে আবেদন করলেই সম্পূর্ণ ফ্রি-তে পাবেন প্যান কার্ড, জেনে নিন বিশদে
আরও পড়ুন শুক্রবারে সোনার দাম বাড়ল না কমল, ২২ ও ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রামের দাম কত হল কলকাতায়